Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৪,

টেকনাফে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৩০ হাজার পরিবার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

জুন ১৯, ২০২৪, ০৬:২০ পিএম


টেকনাফে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৩০ হাজার পরিবার

কক্সবাজারের টেকনাফে ভারী বর্ষণে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। এতে কম হলেও ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ৯টার পর থেকে টেকনাফে ভারী থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত শুরু হয়।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক তোফায়েল আহমদ জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

টেকনাফে শুধুমাত্র ৬ ঘণ্টায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ডের তথ্য জানিয়েছেন টেকনাফ আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের আট গ্রাম, হ্নীলা ইউনিয়নের ১২ গ্রাম, টেকনাফ পৌরসভার সাত গ্রাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ছয় গ্রাম, সাবরাং ইউনিয়নের সাত গ্রাম, বাহারছড়া ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ জানান, তার ইউনিয়নের ৬ গ্রামের ৪০০০ বেশি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এগুলো হলো, মহেশখালীয়াপাড়া, তুলাতুলি, লেঙ্গুরবিল, নতুন পল্লান পাড়া, খোনকারপাড়া, মাঠপাড়া, রাজারছড়া।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, টেকনাফ পৌরসভার কলেজপাড়া, শীলবুনিয়া পাড়া, ডেইলপাড়া, জালিয়াপাড়া, খানকারডেইল, চৌধুরীপাড়া, কেকে পাড়া প্লাবিত রয়েছে।

তিনি জানান, এই সাত গ্রামের মানুষ এখন পানিবন্দি। পানিতে ডুবে আছে টেকনাফ কলেজসহ অনেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানও। পৌরসভার ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু ঘরবাড়িসহ চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় মাছের ঘের, খামারসহ লবণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘ভারী বর্ষণে ফলে কিছু গ্রামে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পাশাপাশি অতি ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অন্যত্রে সরে যেতে বলা হচ্ছে। এজন্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে।’

ইএইচ

Link copied!