community-bank-bangladesh
Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০১ জুলাই, ২০২৪,

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর

উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল

রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল

জুন ২৯, ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম


উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক মো. কামরুলের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলার সচেতন নাগরিক।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা. নার্গিস বেগমের অফিস সহায়ক মো. কামরুল। তিনি কাগমারীপাড়া গ্রামের মৃত মুজাফর আলীর ছেলে। কামরুল গরিব ঘরের সন্তান তার এক ভাই চায়ের দোকান করেন। হঠাৎ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিমের মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মোছা. নার্গিস বেগম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি নতুন হওয়ায় কিছু না বুঝার সুযোগে উপজেলার বিভিন্ন প্রকল্প বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুধুমাত্র কাগজ কলমে দেখিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোছা. নার্গিস বেগমের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন প্রকল্প এবং উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন অফিস সহায়ক মো. কামরুল।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে অবগত করলে তিনি চুপ থাকেন এবং তিনি বলেন, স্বাক্ষরগুলো আমার নিজের।

অভিযোগপত্র থেকে আরও জানা যায়, অফিস সহায়ক কামরুল ঢাকা মোহাম্মদপুরে ২১০০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট কিনেছে। যার মূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। গাজীপুর উপজেলার শ্রীপুরের মাধখোলা শিল্প এলাকায় ৬ শতাংশ জমি কিনেছে। যার মূল্য ৭০ লাখ টাকা। ১০ লাখ টাকা অফিস সহায়ক কামরুলের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে। তার অ্যাকাউন্ট তদন্ত করলে টাকাগুলো বের হয়ে আসবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুল বলেন, আমি পিয়ন তাই উপজেলা পরিষদ চালাই। চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম কিছুই বুঝে না।

এ বিষয়টি সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে তিনি উপজেলার চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, কামরুল নামের অফিস সহায়ককে বদলি করা উচিত। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, যদি এই কামরুলকে বদলি করেন তাহলে আমি পদত্যাগ করবো।

ইএইচ

Link copied!