মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
জুলাই ৩, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
জুলাই ৩, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম
ডাক্তার নার্স ও অন্যান্য স্টাফ নিয়োগ না হওয়ায় উদ্বোধনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো চালু হয়নি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভৈরবা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সীমান্ত এলাকার ৫টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের মানুষ।
এসব মানুষদেরকে চিকিৎসাসেবা পেতে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয় ২০-২৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে। হাসপাতাল নির্মাণ সীমান্তবর্তী এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনে স্বপ্ন পূরণ হলেও সেবা না পাওয়ার দুর্ভোগ যেন তাদের পিছু ছাড়ছে না।
জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার ৫টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার দুর্ভোগ লাঘবে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চলের চেষ্টায় ভৈরাব সাকরখাল নামক স্থানে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ শয্যা বৈশিষ্ট্য হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়। আসবাবপত্র, যন্ত্রপতিও সরবরাহ করা হয় সেখানে। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত বছরের অক্টোবর মাসে এটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু উদ্বোধনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও আজও তা চালু হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত এলাকা থেকে একজন মুমুর্ষ রোগী ২০-২৫ কিলোমিটার রাস্তা পারি দিয়ে মহেশপুর হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাদের খুব দুর্ভোগে পড়তে হয়। রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে যায়, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদ বিন হেদায়েত বলেন, ২০ শয্যা হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হলেও এখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন হয়নি। আমরা এমপি মহোদয়ের মাধ্যমে প্রশাসনিক অনুমোদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ইএইচ