Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অনিয়মের তদন্তে সংসদীয় কমিটি

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো

জুলাই ৪, ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম


চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অনিয়মের তদন্তে সংসদীয় কমিটি

চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অনিয়মের অভিযোগে আজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির গঠিত উপকমিটি।

কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. মজিবুর রহমান মনজু এবং সংরক্ষিত আসনের সদস্য পারভীন জামান।

পরিদর্শনে আহ্বায়ক এম এ লতিফ বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারে ফাটল দেখা গেলে আমরা মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি অধ্যাপক এবং বুয়েটের চারজন সাবেক অধ্যাপকের একটি কমিটি তিন দফায় পরিদর্শন করেছিল। তখন বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার করা হয়। যেখানে ফাটল দেখা গিয়ে সেখানে বিশেষ ফ্লুয়িড দিয়ে ট্রাফিকের জন্য এক্সপ্রেসওয়ে চালু করে দিতে সম্ভব। ভবিষ্যতে কোন সমস্যা হবে না।

এক্সপ্রেসওয়ের ফিনিশিং কাজের ব্যাপারে তিনি বলেন, এখনো কোয়ালিটি চেকিং চলছে। পতেঙ্গা এলাকায় লবণাক্তের ভাগ বেশি। ফলে রেলিং এবং নাট-বল্টুর মধ্যে জং দেখা গেছে। তাছাড়া আমরা এখনো ঠিকাদার সংস্থা থেকে কাজ বুঝে নিইনি। বুঝে নেওয়ার আগে সকল প্রকার কাজ শেষ করা হবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়েছিল। সেই সব অভিযোগ তদন্ত এবং নির্মাণকাজের গুণগত মান যাচাইয়ে গত ১০ জুন উপকমিটি গঠন করে দেয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। যৌথভাবে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ পায় বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও চীনা প্রতিষ্ঠান র‌্যাঙ্কিন।

প্রকল্পটির চুক্তিমূল্য ছিল তিন হাজার ৭২০ কোটি ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭২৮ টাকা। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন। সবশেষ সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ও সময় বাড়ানো হয়। সংশোধিত ব্যয় অনুযায়ী আরও ৬৪৯ কোটি দুই লাখ ৪৩ হাজার ৯১ টাকা বৃদ্ধির ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকার। এতে ব্যয় বেড়ে এখন প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার ৩৬৯ কোটি সাত লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।

তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল কাঠামোর কাজ শেষ হলেও চলছে কয়েকটি র‍্যাম্প নির্মাণের কাজ। বিদ্যুৎ সংযোগে কাজ শেষ হলে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

ইএইচ

Link copied!