Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

সরকারি খালে অবৈধ বাঁধ: ৭০০ একর জমি অনাবাদি, সহায়তা চেয়ে মানববন্ধন

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

জুলাই ৬, ২০২৪, ০৫:০২ পিএম


সরকারি খালে অবৈধ বাঁধ: ৭০০ একর জমি অনাবাদি, সহায়তা চেয়ে মানববন্ধন

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে কৃষি কাজ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক কৃষক পরিবার।

গত দুই দিনে মুষালধারে পড়া বৃষ্টিতে ৩ গ্রামের ৭০০ একর আবাদি কৃষি জমিতে ৩ ফুট পানি জমে রয়েছে। খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে জমানো পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষি কাজ নিয়ে দুর্বিষহ অবস্থায় কৃষক পরিবারগুলো।

স্থানীয়দের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনে বাঁধার প্রতিকার না পেয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে মানববন্ধন করেছে দুই শতাধিক কৃষক।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রভাবশালী কয়েকজন মানুষ তাদের স্বার্থের জন্য উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের প্রধান খালে ১২টির মতো বাঁধ দিয়ে কৃষকের অন্ন কেড়ে নিচ্ছে। এখন জমিতে ৩-৪ ফুটের মতো পানি জমে আছে। প্রায় ৩০০ কৃষকের অন্তত ৭০০ একর জমির চাষাবাদ বন্ধ। এর দ্রুত সমাধান চাই প্রশাসনের কাছে। তা না হলে আমাদের প্রায় ৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধান ও ফসল চাষাবাদ করে আমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এমন অবস্থায় খালটি হতে অবৈধ দখলদারদের বাঁধ অপসারণ করে কৃষকদের মুক্তি দেয়ার জোড় দাবি জানাই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান জানায়, কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে খালটিতে বেশ কয়েকটি বাঁধ রয়েছে। ফলে পার্শ্ববর্তী গ্রামের কয়েকটি মাঠের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। খাল সংলগ্ন প্রায় ৬৫০-৭০০ একর জমিতে পানি জমে রয়েছে। এতে আমনসহ পরবর্তী মৌসুমি ফসল চাষ ব্যাহত হতে পারে।

এর আগে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় আমরা ৫০টি অধিক অবৈধ বাঁধ কেটে দিয়েছি। ধরনের অবৈধ বাঁধের ব্যাপারে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খালের বাঁধ অপসারণের জন্য ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি।

ইএইচ

Link copied!