Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বাংলা ব্লকেডে আবারো বন্ধ ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ

বাকৃবি প্রতিনিধি:

বাকৃবি প্রতিনিধি:

জুলাই ১০, ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম


বাংলা ব্লকেডে আবারো বন্ধ ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ

দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা আবারো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছেনল।

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী ‘তিস্তা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি অবরোধ করেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। এতে করে চতুর্থবারের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করলেন তারা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ট্রেনটিতে থাকা শত শত যাত্রী।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা যা বাকৃবির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জব্বারের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কার চেয়ে এক দফা দাবি জানায়। তারা বলেন, "সরকারি চাকরির ৯ম থেকে ২০তম সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক সকল কোটা বাতিল করে শুধু অনগ্রসর গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ রাখতে হবে।"

বাকৃবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বায়ক মো. ইরান মিয়া বলেন, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ কোটাপ্রথা নামক বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক দফা দাবিতে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছে। এই কর্মসূচির আওতায় রয়েছে সড়কপথ ও রেলপথ। আমরা বাকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচির সাথে সর্বসম্মতভাবে একাত্মতা পোষণ করেই রেলপথ অবরোধ করেছি।

আন্দোলনরত এক নারী শিক্ষার্থী মাশারাত মালিহা বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীনতার এত বছর পরেও যদি কোনো কোনো গোষ্ঠীকে ‍‍`বিশেষ সুবিধা‍‍` প্রদান করতে হয় তা জাতি হিসেবে আমাদের দুর্বলতাকেই প্রকাশ করে। সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশটাকে ভালোবাসেন। মা যেমন কখনো তার সন্তান দের মধ্যে বিভেদ করতে পারে না, তেমনি মুক্তিযোদ্ধারাও কখনো চাইবেন না যে তার বাংলা মায়ের সন্তানদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হোক।

ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, দেশব্যাপী আন্দোলনে জনজীবন তীব্র দুর্ভোগে পড়ছে। আমরাও চাই আন্দোলনের কারণে আর যেন আমাদের পথে বসতে না হয়। অতি দ্রুত কোটা পদ্ধতির সংস্কার হোক এবং মেধাবীদের মুখে হাসি ফুটুক।

আরেক সমন্বায়ক মাজহারুল ইসলাম তুষার বলেন, বাকৃবির একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে চাই আমরা এক দফা এক দাবি ও বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি অংশ নিয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা কেও রাজপথ ছাড়বো না।

এসময় শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোটা সংস্কার সংক্রান্ত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে। চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে মেধাবীদের বঞ্চিত করলে এদেশের ছাত্রসমাজ কখনো মেনে নিবে না।

বিআরইউ

Link copied!