সাদের হোসেন (বুলু) দোহার থেকে
জুলাই ১২, ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
সাদের হোসেন (বুলু) দোহার থেকে
জুলাই ১২, ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
হঠাৎ নদীতে ঢেউ আর পানি দেখলে অনেকেই ভয় পায়। কিন্তু যারা নদী ও পানির সাথে বসবাস করেন তারা এ নিয়ে একটুও চিন্তা করেন না। তাদের চিন্তা উদ্বেগ উৎকণ্ঠা শুধু নদী ভাঙন ও বসত বাড়িতে পানি নিয়ে।
শুক্রবার সকালের দিকে দেখা যায়, পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে মানুষের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে। অধিকাংশ মানুষই পেশায় কৃষক ও জেলে।
বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে তাদের ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করছে। এলাকাগুলো হচ্ছে- দোহার উপজেলার চরকুসুমহাটী, মাহমুদপুর, পুরুলিয়া, শুকদেবপুর, নারায়ণপুর এবং মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের আংশিক অংশ।
অনেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসসহ গরু বাছুর।
মাহমুদপুর গ্রামের কালাম সিকদারের বাড়িতে পানি ঢুকেছে। খুবই চিন্তায় আছে পরিবার পরিজন নিয়ে। উদ্বেগ উৎকণ্ঠা যেন তার পিছু ছাড়ছে না।
একদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অন্যদিকে রাসেলস ভাইপারের ভয় কুঁড়ে খাচ্ছে অসহায় হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষকে।
আর্থিক সংকটে পড়েছেন তারা অনেকেই ছেলেমেয়ে নিয়ে। এছাড়া পানি চলে আসায় অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধ করতে হচ্ছে। তা না হলে অন্য জায়গায় নতুন করে আবার শুরু করতে হবে। আছে এনজিও থেকে নেওয়া লোনের চাপ।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, চলমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির কারণে দেশের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সব কিছু নজর রাখছি। জনগণের পাশে উপজেলা প্রশাসন অবশ্যই থাকবে।
ইএইচ