রাশেদুল ইসলাম, কক্সবাজার
জুলাই ১৪, ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম
রাশেদুল ইসলাম, কক্সবাজার
জুলাই ১৪, ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম
নালার উপর গড়ে উঠেছে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের একাংশ। শুধু এটি নয়, কক্সবাজারে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান এভাবেই নালার উপর গড়ে তুলেছে অবৈধ স্থাপনা। যার কারণে টানা বৃষ্টি হলেই ব্যাহত হয় পানি নিষ্কাশন। ফলে শহরজুড়ে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা।
এতে চরম দুর্ভোগে পড়ে শহরবাসী। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে এবার হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়েছে কক্সবাজার পৌরসভা। যা অংশ হিসেবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সাথে তিনদিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হয়৷
রোববার পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নালার উপর নির্মিত ১০টি স্থাপনা।
এ সময় নালার উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে অনেক দখলকারীকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। প্রথমদিন জেলা গণগ্রন্থাগার, কানাইয়ার বাজার ও লাইট হাউজ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
উচ্ছেদ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার পানি নিষ্কাশনে অসংখ্য ছোট ছোট নালা রয়েছে। এসব নালার পানি বড় ৮-১০টি ড্রেনের মাধ্যমে বাঁকখালী নদীতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু বছরের পর বছর নালা দখল করে দখলবাজ চক্র দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে।
এতে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা নালাগুলো পরিষ্কার করতে পারে না। যার ফলে বৃষ্টি হলে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই পৌরবাসীকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে এই অভিযান শুরু হয়েছে। যা প্রতিদিন চলবে। নালা দখলকারীরা যতোই শক্তিশালী হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, নালা দখল ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে বৃষ্টি হলেই পৌরবাসীকে সীমাহীন কষ্টে পড়তে হয়। তাই এই অভিযান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শহরের নালাগুলো দখলমুক্ত হলে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের সুফল ভোগ করবে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতামুক্ত হবে পর্যটন শহর।
ইএইচ