মহসীন ইসলাম শাওন, লালমনিরহাট থেকে
জুলাই ২৬, ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
মহসীন ইসলাম শাওন, লালমনিরহাট থেকে
জুলাই ২৬, ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
লালমনিরহাটে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে রোষানল পড়ে হামলা, মামলা ও লঞ্চিত হয়েছে ৬ জন সাংবাদিক। তাদের মধ্যে ৩ জনের নামে মামলা, ২ জন সাংবাদিককে মারধর ও ১ জন সাংবাদিক লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার আসামি হয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক।
জানা গেছে, জেলার হাতীবান্ধায় গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কারকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর আনন্দ টেলিভিশনের সাংবাদিক আব্দুর রহিমকে মারধর করেন এবং আরটিভির সাংবাদিক শাহ আলমকে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগ।
একই সময় দৈনিক মানবকণ্ঠ ও বাংলাদেশ জার্নালের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সাজুর অফিসে হামলা করা হয়।
এর আগে ১৭ জুলাই ওই উপজেলার বড়খাতায় সাংবাদিক মাজাহারুল রিফাত নামে এক সাংবাদিককে মারধর করেন ছাত্রলীগ।
এদিকে ১৮ জুলাই কোটা সংস্কারকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় হাতীবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দৈনিক মানবকণ্ঠ ও বাংলাদেশ জার্নালের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু ও কলকাতা টিভির সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাকে আসামি করা হয়।
এছাড়া লালমনিরহাট সদরের একই ঘটনার একটি মামলায় সাব্বির আহমেদ লাভলু নামে এক সাংবাদিকও আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামি হয়েছে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন আসাদুজ্জামান সাজু, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা ও সাব্বির আহমেদ লাভলু। মারধরের শিকার হয়েও ভয়ে মামলা করতে পারছে না দুই সাংবাদিক।
দৈনিক মানবকন্ঠর সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজুর স্ত্রী শারমিন জামান মেরী বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, আমার বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছাত্রজীবনে আমি মিছিল মিটিং করেছি। আজ আমার স্বামী সেই আওয়ামী লীগের নেতার মিথ্যা মামলায় বাড়ি ছাড়া। ওই মামলায় আওয়ামী লীগ পরিবারের অনেক সন্তানকেও আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মামলার আসামি করার বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। পুলিশ বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন।
ইএইচ