Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪,

মহেশপুরের ক্রিকেট ব্যাট যাচ্ছে সারাদেশে

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:

জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৪:১১ পিএম


মহেশপুরের ক্রিকেট ব্যাট যাচ্ছে সারাদেশে

ঝিনাইদহের মহেশপুরে গড়ে তোলা হয়েছে হাতে তৈরি ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কারখানা। নিজেদের ৩টি কারখানা থেকে প্রতিদিন ২ শতাধিক ছোট-বড় ব্যাট তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন তারা। আর এই ব্যাট দিয়ে মাঠ কাঁপিয়ে অনেকেই হয়েছেন তারকা ক্রিকেটার।

গত ২৪ বছর ধরে তারা এই ব্যাট তৈরির কাজ করছেন। কর্মসংস্থান করেছেন ২০-২৫ জনের। উপজেলার বাথানগাছি গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ, সাধন দাস ও শ্যামল দাস গড়ে তুলেছেন এই ব্যাট কারখানা।

সরেজমিন উপজেলার মান্দাড়বাড়ীয়া ইউপির বাথানগাছি মিস্ত্রি পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একটি বাড়িতে পাশাপাশি তিনটি ছোট কারখানা। কোথাও পড়ে আছে কাঠ, ছোট ছোট কাটিং মেশিন, কেউ কাঠ পরিষ্কার বা কাভার লাগাচ্ছেন।কথা হয় একটি কারখানার মালিক রাজেন্দ্রনাথের সঙ্গে।

তিনি বলেন, গত ২৪ বছর ধরে তারা তিন ভাই তিনটি কারখানা পরিচালনা করছেন। প্রতিদিন এই কারখানা থেকে ১০০ থেকে ২০০টি বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেট ব্যাট তৈরি করা হচ্ছে। তাদের কর্মচারী আছে ২৫ জন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা তাদের ব্যাটের অগ্রিম  অর্ডার দেন। প্রকার ভেদে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দরে তারা ব্যাট তৈরি করেন। একটি ব্যাটে গড়ে ৪০-৫০ টাকা লাভ থাকে বলে জানান তিনি।

রাজেন্দ্রনাথ আরও বলেন, তারা মূলত ঝিনাইদহ আরাপপুর থেকে ব্যাট তৈরি কাঠ সংগ্রহ করে থাকেন। কাঠগুলো বাড়িতে এনে ভাল করে শুকিয়ে নেন। এগুলো ছোট কার্টার মেশিন, পরিষ্কার করার মেশিনে কাজ করে আটা দিয়ে ব্যাটগুলো সেট করা হয়। পরে ভালোভাবে শুকানোর পর তার ওপর স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করা হয়।

তিনি বলেন, হাতে এই ব্যাট তৈরি করে তিনি আজ পাকা বাড়ি তৈরি করেছেন, ৩ বিঘা জমি ও মোটরসাইকেল কিনেছেন।ক্রিকেট ব্যাট তৈরি কারখানায় কর্মরত-কর্মচারীরা বলেন, তারা অনেক দিন ধরে এই ব্যাট তৈরির সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা হাজিরায় কাজ করেন। এখানে প্রতিদিন ছোট-বড় সাইজের ব্যাট তৈরি করা হয়। যারা ক্রিকেট খেলেন তারা প্রতিনিয়ত এখান থেকে ব্যাট কিনে নিয়ে যায়।

এছাড়াও ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এই কারখানা থেকে ব্যাট কিনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন।

শ্যামল দাস বলেন, তাদের এই কারখানা বড় করতে চান। এখানে তৈরিকৃত ব্যাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা অর্ডার অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারি না। তবে সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে তাদের আর্থিক সহযোগিতা করলে এই কারখানা বড় আকারে করতে পারতেন।

স্থানীয় সমাজসেবক হারুন অর রশিদ ও সঞ্জিত কুমার বলেন, তাদের গ্রামে তৈরি ক্রিকেট ব্যাটের ব্যাপক চাহিদা। এখানে সম্পূর্ণভাবে হাতে ব্যাট তৈরি করা হয়। ভালোমানের কাঠ দিয়ে তৈরি করার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন এই গ্রামে এসে ব্যাট ক্রয় করে। সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান তাদের আর্থিক সহযোগিতা করলে এ কারখানার আকার বৃদ্ধি করতে পারলে এখানে অনেকের কর্মসংস্থান হবে।

বিআরইউ

Link copied!