Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

পরকীয়া সন্দেহ স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে স্ত্রী

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি

জুলাই ২৮, ২০২৪, ০৬:০৩ পিএম


পরকীয়া সন্দেহ স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে স্ত্রী

বগুড়ার সোনাতলায় পরকীয়া সন্দেহ স্বামীর অমানবিক মারপিটে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে স্ত্রী তানজিলা খাতুন।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকালে সোনাতলা পৌর এলাকার শাহবাজপুর গ্রামে শয়ন ঘরে। আহত তানজিলা আক্তার পৌর এলাকার শাহবাজপুর গ্রামের মোনারুল ইসলাম ফারুকের স্ত্রী।

এ ঘটনায় আহত তানজিলা আক্তার বলেন, ১০ বছর পূর্বে সম্পর্কে করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। সংসারের অভাব অনটনের কারণে দুজন মিলে ঢাকায় চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসি। সেখানে নিত্যাত্তই স্বামীর নির্যাতনের শিকার হই। আমাকে বাবার দেওয়া সকল গহনা বিক্রি করে নেশা ও জুয়া খেলে শেষ করে এখন বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে। এর পরে টাকার জন্য সব সময় নির্যাতন চালিয়ে আসছে। ঘটনার দিন হঠাৎ ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে আমাকে পরকীয়া সন্দেহে বেল্ট দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটাতে থাকে এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয় যা আপনাদেরকে দেখাতে পারবো না। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হাত ভেঙে দেয়। মাথায় লাঠি দিয়ে বাড়ি মেরে মাথা ফেটে দেয়। আমি এ ঘটনায় সঠিক বিচার দাবি করছি।

আহত তানজিলার বাবা জানান, আমার মেয়েকে মেরে হাসপাতালে ভর্তি করে তারপর জানতে পারি। ৭ বছর আমার মেয়েকে দিয়ে চাকুরি করে টাকা উপার্জন করেছে। এখন মেয়ের শরীর খুব একটা ভালো না খাটতে পারে না। এর আগেও অনেক নির্যাতন করেছে স্থানীয় মেম্বার সালিশ করে মীমাংসা করে দিয়েছে। সে জুয়া আর নেশার টাকা যখন পায়না তখনই মেয়েকে এভাবে নির্যাতন করে।

আহত তানজিলার মা বলেন, মেয়র সুখের জন্য যখন যা চেয়েছে তাই দিয়েছি তারপরেও আমার গরু চুরি করে বিক্রি করে নিয়েছে আমরা কিছুই বলিনি। কিছু বললে আমার ছেলে ও স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় তানজিলার স্বামী ফারুক প্রথমে মারপিটের কথা অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে বলেন, আমার বউ মোবাইল ফোনে অন্যের সাথে কথা বলতে দেখছি। তাই বেল্ট দিয়ে মারার সময় পরে গিয়ে খাটের সাথে লেগে মাথা ফাটে এবং বেকায়দায় পড়ে হাত ভেঙে যায়। এটা আমার পারিবারিক বিষয় বউকে শাসন করছি।

এব্যাপারে সোনাতলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শরীরের যঘম, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত এক রোগী আসে আমরা তাকে চিকিৎসা ও মাথায় সেলাই দেই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে রেফার্ড করি।

ইএইচ

Link copied!