Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

তীব্র দাবদাহেও দায়িত্বে অবিচল ট্রাফিক পুলিশ

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

জুলাই ৩১, ২০২৪, ০১:৫৯ পিএম


তীব্র দাবদাহেও দায়িত্বে অবিচল ট্রাফিক পুলিশ

তীব্র রোদ আর প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দেশের হাওর অঞ্চল কিশোরগঞ্জে বইছে তাপপ্রবাহ।

গরমে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। রাস্তায় রিকশা- ইজিবাইক, ভ্যানরিকশা নিয়ে যারা বের হয়েছেন, তারা ঘেমে একাকার হয়ে উঠেছেন। রাস্তার তাপে যেন পুড়ে যাচ্ছেন ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা। একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতেও সড়কে নিস্তার নেই ট্রাফিক পুলিশের।

রৌদ্রের খরতাপেও দায়িত্বে অনড় অবিচল রয়েছেন তারা। দিনে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে হিটস্ট্রোক থেকে শুরু করে নানা রোগের শঙ্কায় আছেন তাঁরা। তপ্ত রোদে কয়েক ঘণ্টা ডিউটি করে হাঁসফাঁস অবস্থা শহরের ব্যস্ত সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। ব্যস্ত সড়কে গাড়ি সামাল দিয়ে বিশ্রামের সময় নেই তাঁদের। গরম থেকে বাঁচতে অন্যরা যখন একটু ছায়া খোঁজেন, দায়িত্ব পালনে একটু ছাড় দিতে পারেন না পুলিশের এসব সদস্য।

সানিউল হক নামে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট বলেন,‘আমরা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা, ঝড়-বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে দ্বায়িত্ব পালন করে থাকি। আমরা মানুষকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে কাজ করে থাকি।আর মানুষকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেবার মাধ্যমেই আমরা আনন্দ খুঁজে পাই।তাই আমরা সদা সচেষ্ট থাকি ভাল সেবা দেওয়ার জন্য।

বুধবার দুপুরে জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশের কর্মব্যস্ততা। তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে সড়কের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা। সড়কে গাড়ি চলাচল করায় স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে আরও অন্তত ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এমন পরিস্থিতিতেও উত্তপ্ত পিচঢালা সড়কে অবস্থান করতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।

দায়িত্বরত বেশ কয়েকজন ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোর থেকে তাদের ডিউটি শুরু হয়। সকালে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও এরপর থেকে শরীরে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। পোশাক পরে রোদে দাঁড়িয়ে থাকাটা অত্যন্ত কষ্টের হয়ে যায়। কিন্তু সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গেলে দায়িত্বে অবহেলা করা যায় না।

সার্জেন্ট এনামুল হক বলেন, ‘সড়কে যানবাহনের চাপ কম থাকলে আমরা চেষ্টা করি নিরাপদ কোনো স্থানে দাঁড়াতে। কিন্তু সড়কের পাশে যতই ছায়া হোক না কেন তাপ অসহনীয়।তারপরেও জনসাধারণকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার মাঝেই আমরা সুখ খুঁজে পাই।‍‍’

সার্জেন্ট তৌফিক আহমেদ বলেন, আমরা যেভাবে এই দাবদাহে দায়িত্ব পালন করছি তা অত্যন্ত কষ্টকর।কিন্তু দায়িত্ব পালনে আমরা কখনো পিছু-পা হই না।

বিআরইউ

Link copied!