নেত্রকোণা প্রতিনিধি
জুলাই ৩১, ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
নেত্রকোণা প্রতিনিধি
জুলাই ৩১, ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
গ্রামীণ অবকাঠামোর রাস্তা সংস্কারে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকালে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের পিজাহাতি গ্রামে। নিহত ইনচাঁন মিয়া (৬০) পিজাহাতি গ্রামের মৃত হালু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ছিলেন একজন দিনমজুর।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পিজাহাতি গ্রামে থাকা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি রাস্তা পাকাকরণের কাজ পায় একই গ্রামের বাসিন্দা ও ঠিকাদার রেজাউল করিম সুমন। রাস্তার কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়। এর মধ্যে রাস্তাটির বাস্তবায়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে রাস্তা সংস্কারে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হয়েছে, এমন অভিযোগ করেন একই গ্রামের আতিকুর রহমান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েক দিন পূর্বে সরজমিনে তদন্ত করে এলজিইডির কর্মকর্তারা। এরপর থেকেই ঠিকাদার ও অভিযোগকারী পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই প্রেক্ষিতে ঠিকাদার রেজাউল করিম সুমন ও আতিকুর রহমানের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মঙ্গলবার বিকালে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়। এর মধ্যে ঠিকাদার সুমনের পক্ষের গুরুতর আহত ইনচাঁন মিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠায়।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক আমার সংবাদকে জানান, রাস্তা সংস্কার কাজ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল। এরই জেরে সংঘর্ষে ইনচাঁন মিয়া নিহতসহ অনেকেই আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পাওয়ার পরপরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি আমার সংবাদকে জানান, নিহত ইনচাঁন মিয়ার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইএইচ