মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
আগস্ট ১, ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
আগস্ট ১, ২০২৪, ১০:৩৫ পিএম
জামালপুরের মেলান্দহে বিয়ের দাবিতে পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে অনশনে বসেছেন কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ বাড়ি ছাড়বেন না। বিয়ে না হলে বিষপানে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের মানকি নয়াপাড়া এলাকায় রাসেল মাহমুদ (২৭) নামে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে আমরণ অনশন শুরু করেন ওই কলেজছাত্রী।
পুলিশ কনস্টেবল রাসেল মাহমুদ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আমির হামজার ছেলে। সে নেত্রকোণা জেলায় পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।
ওই তরুণী জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারিতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান করার খবর শুনে বিয়ে বাড়িতে গেলে দেখা যায়, প্রেমিকের বাড়ির সামনে রাস্তায় পুলিশ সদস্য প্রেমিক রাসেল ও প্রেমিকা সুইটি আক্তারের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলছে। প্রেমিক রাসেল যেদিকে যেতে চাচ্ছেন প্রেমিকাও সেদিকে যাচ্ছেন এবং বাধা দিচ্ছেন যেতে।
এদিকে প্রেমিকা বারবার বলছেন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করব। একপর্যায়ে প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনে প্রেমিকের বাড়ির ভিতরে ঢুকান। এ সময় প্রেমিক কৌশলে বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ সদস্যের পরিবারের লোকজন প্রেমিকা সুইটি আক্তারকে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেবার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে বের করে দিতে ব্যর্থ হন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন আগে গোপনে পুলিশ সদস্য রাসেল মাহমুদের বিয়ে ঠিক হয় উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার একটি মেয়ের সাথে। বিয়েতে ৮ লাখ টাকা যৌতুক ও ঠিকঠাক হয়। এরমধ্যে যৌতুকের কিছু টাকা একটা ছেলের পরিবারকে দেয়া হয়। বুধবার রাসেলের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হয়। বৃহস্পতিবার বরযাত্রা নিয়ে যাওয়ার কথা। এর মধ্যেই প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিক সুইটি আক্তার। এতেই বিয়ের সকল আয়োজন মুহূর্তেই লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
প্রেমিকা সুইটি আক্তার বলেন, এক বছর দুই মাস ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্ক চলাকালীন জামালপুর শহরে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল। আমার পরিবারের সাথে সবার সাথেই পরিচিত। আমিও তাদের পরিবারের সবার সাথেই মোবাইলে অনেকবার কথা বলেছি। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে দেখা করেছে বারবার। রাসেল কাল আমাকে রাতে ফোন দিয়ে বিয়ে বলে ঠিক হয়েছে তুমি বাড়িতে আসো। আজ বাড়িতে আসলে রাসেল পালিয়ে গিয়েছে। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।
এ বিষয়ে ছেলের বাবা আমির হামজা বলেন, জোর করেই আমাদের বাড়িতে উঠেছে। তার সাথে আমার ছেলের কোন প্রেমের সম্পর্ক নাই।
এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মদনমোহন সিং বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মেয়ে এবং ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। ছেলের পরিবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মেয়েকে আইনি সহায়তার জন্য থানায় যেতে বলা হয়েছে।
ইএইচ