নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২, ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ২, ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘গণমিছিল’ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষার্থীরা বাধা ডিঙিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (০২ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পার্শ্ববর্তী আখালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিক ও পথচারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বিকেল পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে পুলিশ ও ছাত্র-জনতার মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা চলছিল।
পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের আখালিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে অবরোধ তৈরি করেছিলেন। পুলিশ বারবার তাঁদের সরে যেতে অনুরোধ করেছে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সারা দেশের মসজিদে জুমার নামাজ শেষে দোয়া, কবর জিয়ারত, মন্দির, গির্জাসহ সব প্রার্থনালয়ে প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ শীর্ষক শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল আজ। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শাবিপ্রবির প্রধান ফটকে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশের বাধার মুখে তাঁরা সেখানে অবস্থান নিতে পারেননি। এরপর আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকায় সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, পুলিশ, পথচারী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন
প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষার্থী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থী ও পথচারীদের পাশাপাশি তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া দৈনিক কালবেলা পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি মিঠু দাস জয়ও গুলিবিদ্ধ হন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ গণমাধ্যমকে জানান, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করলে পুলিশ তাঁদের যেতে বলে। তবে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় সাতজনকে পুলিশ আটক করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিআরইউ