Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

টাঙ্গাইলে মহাসড়ক অবরোধ করে গণমিছিল

রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল থেকে

রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল থেকে

আগস্ট ২, ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম


টাঙ্গাইলে মহাসড়ক অবরোধ করে গণমিছিল

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে এবং ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে টাঙ্গাইলে ছাত্র-জনতার গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শহরের সাবালিয়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

ছাত্র-জনতার ওই মিছিলটি শহরের সাবালিয়া থেকে বের হয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সামনে দিয়ে জেলা সদর মসজিদ হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় শহরের বিভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় শেষে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ ও অভিভাবক এবং শিক্ষকরা ছাত্রদের মিছিলে যোগ দেয়।

এ সময় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়। এছাড়া বিজিবি, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা যায়।

শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ছাত্র-জনতার বিশাল মিছিলটি টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে। সমাবেশে নাম-পদবী উল্লেখ না করে বক্তারা শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় পুরো শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে প্রেসক্লাব থেকে ছাত্রদের একটি খণ্ড মিছিল শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাসে গিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ সহ সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেয়। শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ এ সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেয়। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ভোগান্তিতে পড়ে চালক ও যাত্রীরা। পরে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান। পরে উভয় পাশে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দিন জানান, পুলিশ অতি ধৈর্য সহকারে দায়িত্ব পালন করেছে। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করে ফিরে গেছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ইএইচ

Link copied!