Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ঋণের চাপে দিশেহারা কৃষক ও খামারি

দামুড়হুদায় ক্ষুরারোগ ও গুটি বসন্তের প্রকোপ, মারা যাচ্ছে গরু

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

আগস্ট ৩, ২০২৪, ০৬:২১ পিএম


দামুড়হুদায় ক্ষুরারোগ ও গুটি বসন্তের প্রকোপ, মারা যাচ্ছে গরু

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মদনাসহ বিভিন্ন গ্রামে গরুর ক্ষুরা রোগ ও গুটি বসন্তে ব্যাপক হারে গরুর মৃত্যু বাড়ছে। গরুর মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পরেছে উপজেলার খামারি ও গরু পালনকারীরা।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে এই রোগের প্রকোপ।

পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের শুধুমাত্র টাওয়ার পাড়ায় প্রায় ২০/২৫টি গরু মারা গেছে।

এই ইউনিয়নের খামারি ও গরু লালন-পালনকারীরা জানায়, গ্রামের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছ গরুর ক্ষুরা রোগ ও গুটি বসন্ত। যার ফলে গত দুসপ্তাহে গ্রামের খামারি ও কৃষকের গরু আক্রান্ত হচ্ছে এ রোগে। প্রতিদিনই গ্রামে মারা যাচ্ছে ২/৩ টি গরু।

গেল সপ্তাহে আজের আলীর ছেলে আবু সিদ্দিকের ১টি বকনা, আব্দুর রহমানের ছেলে ১টা এড়ে গরু। মকছেদ আলীর ছেলে হাসানের ১টি বলদ, আব্দুল মজিদের ছেলে ওমর ফারুকের ২টা এড়ে, জয়নালের ছেলে ওসমানগনি ১টা বলদ, আব্দুল কাদেরের ছেলে রেজাউল ইসলামের ১টা বলদ, গত ৭/৮ দিনের মধ্যে উকিল মণ্ডলের ছেলে জামাত আলীর ২টা বছুর, নাসির উদ্দিনের ২টা বলদ ও ২টা গাভি ক্ষুরা রোগ ও গুটি বসন্তে হয়ে মারা গেছে।

এছাড়া ওসমান গনির ছেলে সালেকিনের ১টা বলদ ও ১টা বাছুর গরু মারা গেছে। প্রতিটি কৃষকের ঘরেই রয়েছে একাধিক অসুস্থ গরু।

একই অবস্থা দেখা গিয়েছে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা, নটুদহ, হাউলি, দামুড়হুদা সদর, কুড়ুলগাছি, নতিপোতা, জুরানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরু কেনা কৃষক পরিবার ও খামারিরা।

এক কৃষক জানায়, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটা-দুইটা গরু পুষে পরিবারে ছেলে মেয়ের লেখাপড়া, বিয়ে ও একটু পাঁকা ঘরবাড়ি নির্মাণ করে থাকি আমরা। তবে এ বছর গরুর মোড়ক লাগায় গরু সব মরতে শুরু করেছে। গরু পুষে লাভ করা তো দূরের কথা এখন আমরা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা নিয়ে পরেছি বিপাকে। এনজিও তো আর শুনবে না গরুর রোগের কথা গরুর মৃত্যুর কথা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, এ সময় গরুর ক্ষুরা রোগ ও গুটি বসন্তে হয়ে থাকে। এটা একটি ভাইরাস রোগ কোন গরুর এ রোগ দেখা দিলে সেই গরুটি আলাদা স্থানে সরিয়ে রাখতে হবে। তবে গরুর এক বছর বয়সে খুরা রোগের এলএসডি ভ্যাকসিন দিতে হয়। এরপর প্রতি ছয় মাসে ১ ডোজ ও বছরে একবার বুস্টার দেওয়া হলে এ রোগগুলো হয় না।

গরুর খামার কমে যাচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরুর খাবার ওষুধের মূল্যে বৃদ্ধি হওয়ায় খামারিরা বেশী লাভ করতে পারছে না। ফলে ছোট ছোট গরুর খামার গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

ইএইচ

Link copied!