কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ৪, ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ৪, ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে পুড়ে যায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়টি।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসায় আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় ২টি শিশু বাচ্চাসহ ৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।
সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
জানা যায়, এক দফা দাবির প্রেক্ষিতে রোববার সকাল ১১টায় পুরানথানা ইসলামিয়া সুপার মার্কেট চত্বরে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও অবস্থান নেয় জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
পুরানথানা থেকে আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দিকে আসলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
এ সময় ধাওয়া খেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সরে গেলে আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসায় অগ্নিসংযোগ করে।
এতে ঘটনাস্থলেই ২ শিশু বাচ্চাসহ ৩ জন নিহত হয়। এ অবস্থায় প্রথমে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
ইএইচ