মাদারীপুর প্রতিনিধি
আগস্ট ৮, ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম
মাদারীপুর প্রতিনিধি
আগস্ট ৮, ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম
মাদারীপুরে পুলিশ ও ট্রাফিক না থাকায় দায়িত্ব পালন করছে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনের সেচ্ছাসেবীরা।
রাস্তায় কোন ধরনের চাঁদা বা হয়রানি না থাকায় খুশি যানবাহন শ্রমিকরা। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খুশি থাকলেও পরবর্তী সময় কি হবে তা নিয়ে শঙ্কায় সাধারণ মানুষ। নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসার সদস্য থাকার কথা থাকলেও শহরের বেশিরভাগ স্থানেই দেখা যায়নি তাদের। এমনকি সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও টহল দিতে দেখা যায়নি কোথাও।
পুলিশ কর্মবিরতি পালন করায় মাদারীপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বা ট্রাফিক কন্ট্রোলের জন্য জেলার কোথাও পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
সকাল থেকেই ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের দেখা গেছে ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে। ট্রাফিক কন্ট্রোলের পাশাপাশি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুরের পরিত্যক্ত গেল চত্বর পরিষ্কার করে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা। নিজ অর্থায়নে শিক্ষার্থীরা এই স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয়রা।
শিক্ষার্থী ও সেচ্ছাসেবীরা জানান, সাধারণ মানুষের যাতে চলাচল করতে সমস্যা না হয় তাই আমরা ট্রাফিক কন্ট্রোলের চেষ্টা করছি। এছাড়া মস্তফাপুর গোল চত্তরটি অবহেলিত ছিল। এখানে আবর্জনা ও আগাছায় ভরে উঠেছে। আমরা তা পরিষ্কার করে বৃক্ষ রোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। তাই স্থানটি পরিষ্কার করছি। হর্টিকালচার থেকে গাছের চারা এনেছি। এখানে রোপণ করবো।
পিকআপ চালক আরাফাত বেপারী জানান, আগে রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে চাঁদা দেয়া লাগতো। এছাড়া বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতাম। কিন্তু বর্তমানে ব্রিজের টোল, পৌর টোল ও সরকার নির্ধারিত সড়কগুলোতে টোল দিতে হয়। এছাড়া কোন চাঁদা দিতে হয় না। এমনকি কোন ধরনের হয়রানিও হচ্ছি না। এভাবে থাকলে আমাদের জন্য ভাল। যারাই ক্ষমতায় আসুক আশা করি তারা চাঁদা বন্ধ করবে। আমাদের আর কোন চাঁদা দিতে হবে না বা হয়রানি হতে হবে না।
উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার মো. বজলু মাতুবার বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছি।
মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান বলেন, আজ সন্ধ্যার মধ্যে পুলিশের সকল সদস্য ও অফিসাররা এসে স্ব স্ব ইউনিটে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কবে নাগাদ মাদারীপুরের পুলিশ তাদের কার্যক্রম শুরু করবে এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি তিনি।
ইএইচ