কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ৯, ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আগস্ট ৯, ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
কিশোরগঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন ৯ বছরের শিশু মাহমুদা হাসান অরশি।
চকলেট খাওয়ার কথা বলে মায়ের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে একটি বাঁশি কিনে দুদিন ধরে সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ট্রাফিক পুলিশের অবর্তমানে সড়কে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হওয়ায় সেজন্য শহরের খরমপট্টি এলাকার আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহমুদা হাসান অরশির এই প্রচেষ্টা।
শুক্রবার সকালে শহরের হাসপাতাল রোড বটতলা মোড় ও কালিবাড়ি মোড় এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হাতে বাঁশি নিয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চালকদের সুশৃঙ্খলভাবে সড়কে চলাচলের আহ্বান করছেন অরশি।
অরশির হাতে থাকা একটি দিকনির্দেশক লাঠি দিয়ে তিনি যানবাহনগুলোকে সারিবদ্ধভাবে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। সড়কের চলাচলরত যানবাহনগুলো তার নির্দেশ পালন করছেন। অরশির এমন উদ্যোগে খুশি হয়েছে তার বাবা কাউসারসহ পথচারীরা।
অরশির বাবা জেলা কারাগারে কর্মরত কাউসার বলেন, অরশির উদ্যোগে আমি খুব খুশি হয়েছি। চকলেট খাওয়ার জন্য ৩০ টাকা নিয়েছিল, পরে জানলাম সে বাঁশি কিনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে।
ওকে যখন নিতে আসছি তখন বলে, আব্বু আমাকে একটা ঘণ্টা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দাও, চার ঘণ্টা বই পড়বো। ওর কথার পরে আর বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করিনি। গতকাল থেকে ও কাজ করছে, আমি দূর থেকে ওর সাথে আছি। অরশিকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি আমি।
৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহমুদা হাসান অরশি বলেন, শহরে বিভিন্ন জায়গায় সব সময় পুলিশ আংকেলরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু কয়েকদিন যাবত তারা (পুলিশরা) দায়িত্ব পালন করছেন না। তাই সড়কে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। এজন্য শৃঙ্খলা ফেরাতে আমি নিজে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি। অটো ও রিকশাচালক আঙ্কেলরাও আমার কথা শুনছে খুবই ভাল লাগছে। এছাড়া বড় শিক্ষার্থীদের সাথে সড়কের ময়লা পরিষ্কার করতেও দেখা যায় শিশু অরশিকে।
শিশু মাহমুদা হাসান অরশি কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে কর্মরত কাউসারের মেয়ে। সে শহরের খরমপট্টি এলাকাদ আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ইএইচ