Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

তানোরে স্কুল থেকে ল্যাপটপ চুরি, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

আগস্ট ১৮, ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম


তানোরে স্কুল থেকে ল্যাপটপ চুরি, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ

রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন (ইউপির) হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাবের জানালার গ্রিল কেটে সাতটি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সাতটি ল্যাপটপের মধ্যে দুটি স্কুলের ভিতরের ফাঁকা হাউজে রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার, শুক্রবার বা শনিবার দিবাগত রাতে চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

তবে স্কুল সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে এবং রাতে কাজ করা মিস্ত্রিরা থাকছেন। চুরির ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, কেউ বলছে দায়িত্বে অবহেলার কারণে চুরি হলেও হতে পারে, তাছাড়া নৈশপ্রহরী কেনই বা জানতে পারলনা এমন নানা প্রশ্ন জনসাধারণের।

সরেজমিনে রোববার বিকালের দিকে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের পশ্চিম দিকের গেট দিয়ে ভিতরে যাওয়া হয়। গেটের উত্তর দিকের ভবন। ভবনের একেবারে উত্তর দিকে ল্যাবঘর। ল্যাবঘরের পূর্ব দিকে মাটির ঘর রয়েছে। পশ্চিম দিকে প্লাস্টার করা টিনের ঘর। সে সব ঘরেই মিস্ত্রিরা থাকছে। এসব ঘরের দক্ষিণ দিকের হাউজের ভিতরে চুরি হওয়া দুটি ল্যাপটপ রাখা হয়েছে। হাতিশাইল উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় একই সীমানার মধ্যে।  

কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ল্যাব ঘরের গ্রিল কাটা জানালা দেখছেন। সেখানেই ছিলেন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর জনি ইসলাম তিনি  জানান, রোববার সকালের দিকে ল্যাব ঘর খোলার সময় দেখি ১৭টি ল্যাপটবের মধ্যে ৭টি নাই। ল্যাব ঘরের স্কুলের ভিতরের জানালার গ্রিল কাটা। গ্রিল কেটে ল্যাপটপ চুরি করে নিয়েছে। চুরি হওয়া সাতটি ল্যাপটপেরর মধ্যে দুটি ল্যাপটপ পশ্চিম দিকের ফাঁকা হাউজে রেখে দিয়েছে। সে দুটি ল্যাপটপ সাদা বস্তা দিয়ে ঢাকা রয়েছে। প্রধান শিক্ষক থানায় গেছেন।

সেখানেই স্থানীয় বেশকিছু ব্যক্তিরা জানান, কয়েক মাস ধরে স্কুলের সংস্কার কাজ চলছে এবং রাতে মিস্ত্রিরা স্কুল ঘরেই থাকছে। আবার নৈশ প্রহরী রয়েছে। এতকিছুর পরও কীভাবে জানালার গ্রিল কেটে ল্যাপটপ চুরি হয় এমন প্রশ্ন উঠেছে। স্কুল সংস্কারের কাজ চলার জন্য স্কুলের সব ল্যাপটপ ল্যাবঘরে রাখা ছিল। এমনকি প্রাথমিক স্কুলের একটি ঘর অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। 
রোববার সকালে চুরি হওয়ার বিষয়টি জানার পরও উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে অবহিত করা হয়নি।

এমনকি সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত কোন আইনগত প্রক্রিয়া করা হয়নি বলে জানান প্রধান শিক্ষক আয়নাল হক।

যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবারে সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। ওই দিন স্কুল বন্ধ হওয়ার পর রোববারে সকালে স্কুল খুলে জানা যায় ল্যাপটপ চুরি হয়েছে।

আপনার স্কুলে নৈশপ্রহরী আছে আবার মিস্ত্রিরা থাকছে কীভাবে চুরি হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, সবাই ছিল তারপরও চুরির ঘটনা দুঃখ জনক। আইনি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন প্রক্রিয়া চলছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কিছুই জানি না। প্রধান শিক্ষক আয়নাল একজন জটিল মানুষ। এতবড় ঘটনা সে আমাকেও জানায়নি, তাহলে সে কি পরিমাণ জটিল ব্যক্তি বুঝে নিতে হবে। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

ইএইচ

Link copied!