শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জামিরতা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বাসেতের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রাজনৈতিক পদ ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জুলুম-অত্যাচার, ব্লাকমেইল করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, নিয়োগ বাণিজ্য, কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ এবং কলেজে উপস্থিত না থেকেই মাস শেষে হাজিরা খাতায় উপস্থিতি স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে উপাধ্যক্ষ বাসেতের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে জামিরতা ডিগ্রি কলেজের ক্যাম্পাস থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি জামিরতা বাজার ঘুরে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাধ্যক্ষ আব্দুল বাসেতের পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য দেন- কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান, ময়নুল, রায়হান, শাহাদত, রাসেল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, উপাধ্যক্ষ আব্দুল বাসেত উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ার সুবাদে দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে চরম স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেন। তিনি কলেজে উপস্থিত না হয়ে হঠাৎ এসে হাজিরা খাতায় একদিনে সব স্বাক্ষর করেন। সেইসাথে নিজের কলেজসহ শাহজাদপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের গড ফাদার হয়ে ওঠেন। অপরদিকে কলেজের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরে উপাধ্যক্ষ আব্দুল বাসেতের পদত্যাগ দাবি করেন। সেইসাথে তদন্ত করে উপাধ্যক্ষ আব্দুল বাসেতের সহযোগিতাকারীদেরও শাস্তি দাবি করেন তারা। এছাড়াও কলেজে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ, পাঠাগার সংস্কার, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবি পেশ করেন। সেইসাথে উপাধ্যক্ষ বাসতের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে সহমত পোষণ করে জামিরতা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হায়দার আলী বলেন, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে অতিদ্রুত শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এস ময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ হায়দার আলী বলেন, উপাধ্যক্ষ আব্দুল বাসেত কোন প্রকার ছুটি না নিয়ে গত ১৫ দিন টানা অনুপস্থিত রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিগত দিনেও উপাধ্যক্ষ আব্দুল বাসেত কলেজে অনুপস্থিত থেকে হঠাৎ এসে জোর করে হাজিরা খাতায় সিগনেচার করেছেন।
এ বিষয়ে উপাধ্যক্ষ আব্দুল বাসেতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইএইচ