ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
আগস্ট ২১, ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
আগস্ট ২১, ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দুইটি পৌরসভাসহ ১৮ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে এই এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা হালদা, ধুরুং, সর্তা,গজারিয়াসহ বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পূর্বের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে ফের ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় শঙ্কায় দিন পার করছেন এলাকাবাসী।
এদিকে হালদা নদীর পানী বৃদ্ধি পাওয়ায় নারায়ণহাটের ঝুঁকিপূর্ণ হালদার উপর কাঠের সেতুটি ভেঙ্গে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানিতে এলাকাগুলোর কয়েকশত একর রোপা আমন, বীজতলা ও বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়াও উপজেলার ২০ থেকে ২৫টি মাছের ঘের ও অধিকাংশ পুকুর ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে উপজেলার নানুপুর, লেলাং, ধর্মপুর, রোসাংগিরী, আব্দুল্লাহপুর, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি, সমিতিরহাট, নাজিরহাট পৌরসভা,সুন্দরপুর, পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, দাঁতমারা, বাগানবাজারসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি দেখা দিয়েছে।
উপজেলার গ্রামীণ সড়ক ছাড়াও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক, কাজিরহাট-নাজিরহাট সড়ক,গহিরা- ফটিকছড়ি-হেঁয়াকো সড়কের বেশ কয়েকটি স্থান বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
বুধবার সকালে উপজেলার লেলাং, রোসাংগিরী, সুন্দরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েকশতাধিক বসত বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন- ফটিকছড়ি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ধুরুং খালের বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জরুরিভাবে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চলছে। বাঁধটি রক্ষা করা না গেলে উপজেলা সদর বিবিরহাট বাজার পানিতে তলিয়ে যাবে।
লেলাং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে আমাদের এলাকার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। গত দুই থেকে তিনদিনের অতিবৃষ্টিতে মানুষের ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ভারী বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, প্রয়োজনে আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
ইউএনও আরও বলেন- ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে নদী ভাঙন, ঝুঁকিপূর্ণ বসতি, মানুষের ক্ষয়-ক্ষতির তথ্য চাওয়া হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
বিআরইউ