আমার সংবাদ ডেস্ক
আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৮:৪০ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
আগস্ট ২২, ২০২৪, ০৮:৪০ পিএম
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়া গ্রামে স্থানীয় বিএনপির অতিউৎসাহীরা সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম খন্দকার মোশতাক আহমাদের বাড়ির সংস্কার কাজ বন্ধ করে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। ৯দিনেও ঘরের চাবি ফিরিয়ে না দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সাবেক ওই রাষ্ট্রপতির পুত্র খন্দকার ইশতিয়াক আহমাদ। তিনি বিষয়টি বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের অবগত করে সহযোগিতা চেয়েছেন।
এবিষয়ে কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থানরত খন্দকার ইশতিয়াক আহমাদ মুঠোফোনে জানান, `২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আওয়ামী দু:শাসনের অবসান ঘটে। তেমনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমাদের নেতৃত্বে আওয়ামী দু:শাসন থেকে দেশের মানুষ মুক্ত হয়েছিল। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম খন্দকার মোশতাক আহমাদের বাড়িটি নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র হয়েছে, কিন্তু বাড়ির গেইটের তালা লাগানোর সাহস করেনি। অথচ আওয়ামী লীগের আশ্রয়ে প্রশয়ে থাকা আমার কয়েকজন আত্মীয় দাউদকান্দি বিএনপির কিছু নেতাদের ব্যবহার করে বাড়ির সংস্কারকাজ বন্ধ করে গেইটে বেআইনিভাবে তালা দিয়েছে। এটি নিন্দনীয় ও অন্যায়। আমি বিষয়টি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য দাউদকান্দির অভিভাবক শ্রদ্ধেয় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ হোসেনসহ সিনিয়র নেতাদের জানিয়ে এব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু যারা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে চাবি নিয়ে গেছে তা এখনও ফেরত দিচ্ছে না। আমার প্রশ্ন, সাবেক রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমাদের বাড়ির গেইটে তালা দিয়েছে কোন কারণে?
এবিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল লতিফ বলেন, ‘দশপাড়া গ্রামে পীর সাহেবের বাড়ির সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে ফেলার ঘটনাটি মীমাংসা করে আমরা যখন চলে আসছিলাম তখন আমাদের মধ্যে কেউ অতি উৎসাহী হয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক সাহেবের বাড়ির গেইটে তালা লাগিয়ে চাবি ওনাদের প্রতিপক্ষের লোকের হাতে দিয়ে এসেছে। এটি সঠিক হয়নি বলে আমি মনে করি।`
বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, ‘দশপাড়া গ্রামে দাউদকান্দি বিএনপির কিছু নেতা সেখানকার আরেক নেতার শ্বশুরবাড়ির দেয়াল ভাঙ্গার বিষয় মীমাংসা করতে গিয়েছেন। কিন্তু এখন শুনতেছি যারা গেছে তারা নাকি সাবেক রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক সাহেবের বাড়িতে তালা দিয়েছে। এটাতো তারা করতে পারেন না। সম্পত্তি নিয়ে মামলা থাকলে সেটা আদালত দেখবে। সেখানকার স্থানীয় নেতারা অতি উৎসাহী হয়ে বেআইনি কাজ করবে কেন? আমি দাউদকান্দি বিএনপির আহ্বায়কের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবো।’
এদিকে দশপাড়া গ্রামের লোকজন জানান, গত ১৬ বছর ধরে সাবেক রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমাদের পরিবারের প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠা তার কয়েকজন আত্মীয় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় হামলা-মামলা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে আওয়ামী চরিত্রের ভূমিকা রেখেছে। গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর কয়েকদিন না যেতেই খন্দকার মোশতাক পরিবারের প্রতিপক্ষ খন্দকার নাসিরুল কবীর ও তার সহযোগীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপি নেতা কিংবা দলটির নাম ব্যবহার শুরু করেছেন। বিশেষ করে সাবেক রাষ্ট্রপতির বাড়িতে তালা লাগানোর ঘটনা ঘিরে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
আরএস