চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
আগস্ট ২৩, ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
আগস্ট ২৩, ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান এবং মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. শামসুদ্দোহা শিমুলের শেষ জানাজা নামাজ ও দাফনকার্য সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে জানাজা নামাজ ও দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঢাকার গ্রিন রোডে অবস্থিত কমফোর্ট হাসপাতালে সেফটোপ্লাস্টি সার্জারি করার জন্য সামসুদ্দোহা শিমুলকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার ড. জাহির আল-আমীন এবং ইফতেখারুল কাওসার (যিনি অ্যানেস্থেশিয়া দেন) রোগীর অপারেশন করতে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করেন।
সাধারণত অপারেশন শেষ করতে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট লাগলেও ডাক্তার অনেক সময় নেওয়ায় রোগীর পরিবারের সদস্যরা উদগ্রীব হয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চাওয়া হলে প্রথমে তারা বলতে অস্বীকার করলেও কর্তব্যরত ডাক্তার উপায়োন্তর না পেয়ে এক পর্যায়ে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে স্বজনদের জানায় রোগী মারা গেছে।
কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ডাক্তার তাৎক্ষণিক আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঐ ডাক্তারকে অজ্ঞাত জায়গা থেকে বের করে লোক দেখানো পুলিশের হাতে সোপার্দ করে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ডাক্তার এবং যিনি অ্যানেস্থেশিয়া দেন তিনিসহ অপারেশন থিয়েটার প্রবেশ করার পূর্বে মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে দেখে স্পষ্টতই বুঝা যাচ্ছিল।
ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করায় মৃত্যুর প্রতিবাদে গত বুধবার মৃত ব্যক্তির পক্ষে বাদী হয়ে রিয়াজ ইসলাম (ভাগনে) কলাবাগান থানায় কমফোর্ট হাসপাতালের ডাক্তার ড. জাহির আল-আমীনকে প্রধান আসামি করে মোট ৪ ব্যক্তির নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
তবে বৃ্হস্পতিবার লাশ দাফন করার পূর্বেই আসামিদের কোর্টে তোলা হলে মামলাটি বিচার বিশ্লেষণ করে আদালত প্রধান আসামিসহ বাকিদেরকে জামিন মঞ্জুর করেন।
সামসুদ্দোহা শিমুলের স্ত্রী সায়মা সুলতানা বলেন, আমার স্বামী সামসুদ্দোহা শিমুল একজন সুস্থ সবল মানুষ। সেফটোপ্লাস্টি সার্জারি মত এমন একটি ছোট সার্জারি করে আমার স্বামীকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না আমার স্বামী পৃথিবীতে নেই। আমার দুটো সন্তান। তারা কাঁদতে কাঁদতে র্মূছা যাচ্ছে। আমার দুই সন্তানকে আমি কি বলে শান্তানা দিবো সেই ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমাদের সব শেষ। আমি আমার স্বামীর হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
এ ব্যাপারে মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের হেড অব ব্র্যান্ড সোহেল কিবরিয়া বলেন, আমরা বার বার বলে সত্ত্বেও পুলিশ নিজেদের ইচ্ছায় মামলার ধারা ঠিক করেন। আমাদের এখন প্রধান অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আমরা বিচার চাই। পুলিশের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে যাব।
শনিবার প্রেসক্লাবের সামনে আমরা ‘জাস্টিস ফর শিমুল’ ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবো এবং স্মারকলিপি পেশ করবো।
ইএইচ