Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

১ মাস ৭ দিন পর আবারও হাসপাতালে হাসনা হেনা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

আগস্ট ২৪, ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম


১ মাস ৭ দিন পর আবারও হাসপাতালে হাসনা হেনা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হওয়ার এক মাস সাতদিন পর ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন হাসনা হেনা (২০) নামে এক শিক্ষার্থী।

যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আলী আশরাফের সহায়তায় শনিবার মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

হাসনা হেনা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বারাহিরচর গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে। 

এর আগে গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয় হাসনা হেনা। মানিকগঞ্জ আদালত চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে খালপাড় ব্রিজে যাওয়ার পর মিছিলে হামলা করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাকে লাঠি দিয়ে বেধরক পেটানো হয় ও রাম দা’ দিয়ে কোপানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে এ দৃশ্য দেখে দেশবাসী। তার কোমরে দুটি কোপ লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  

হাসনা হেনার দাবি, হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়নি। তিনদিন পর ২১ জুলাই তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর সে ড্রেসিং করানোর জন্য নিয়মিত হাসপাতালে এলে তার সাথে অনেক খারাপ আচরণ করা হয়।

এদিকে, হাসনা হেনার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফ। হাসনা হেনা তাকে জানায়, তার কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা। সে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারে না। এমনকি যন্ত্রণায় ঠিক মতো ঘুমাতেও পারে না। বিষয়টি জানার পর আলী আশরাফের সহায়তায় পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি হয় হাসনা হেনা। হাসপাতালের বর্তমান দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বদরুল আলম তার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেন।

এর আগে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ হাসনা হেনার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেন। তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেন। সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মিলন নামের এক আইনজীবী।

ঘটনার শুরু থেকেই সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান ও যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন।

হাসনা হেনার পিতা ইকবাল হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপর হামরা পর আমার মেয়ে আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমিও তাকে উৎসাহিত করি। আন্দোলনে গিয়ে আহত হলেও আমি অনেক গর্বিত। তাদের রক্তের বিনিময়ে হলেও দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। তার মেয়ের পাশে থেকে সহযোগিতার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

ইএইচ

Link copied!