সফিক ইসলাম, পাবনা
আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
সফিক ইসলাম, পাবনা
আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
পাবনা জেলার প্রতিটা উপজেলা এবং পাবনা সদরে নামি বেনামি প্রায় ১৭টি প্রতিষ্ঠান রাস্তায় দাঁড়িয়ে দোকানে দোকানে গিয়ে বৃষ্টি অপেক্ষা করে মানবতার কাজে এগিয়ে এসেছেন।
রোববার পাবনা জেলার সমস্ত উপজেলা ১৭টি নামি বেনামি প্রতিষ্ঠান সাহায্য তুলতে ব্যস্ত। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে প্রায় ৮টি প্রতিষ্ঠান সাহায্য তুলছেন।
শহরের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের বাক্স হাতে নিয়ে দোকানে মানুষের সামনে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। সাধারণ জনগণ সাহায্য করতে ভুলছেন না যার কাছে যা আছে তাই দিয়ে বানভাসিদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
তুমুল বৃষ্টি আর বাঁধভাঙা বন্যার তোড়ে প্লাবিত দেশের পূর্বাঞ্চল। কালবিলম্ব না করে মানবতার চিরন্তন হৃদয়াবেগ নিয়ে দুর্গত মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দেশের ছাত্র-জনতা। সর্বস্তরের মানুষ অতীতের মতোই একতাবদ্ধ হয়েছেন সব মতভেদ, বিবাদ–বিসংবাদ ভুলে। সর্বশক্তি নিয়ে দেশের এই ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নেমেছেন। যে যেভাবে পারছেন—অর্থ, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, উদ্ধার, আশ্রয়, দুর্যোগ–দুঃসময়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়ানোর মহৎ গুণটি এ দেশের মানুষ রপ্ত করেছেন অনেক আগেই।
তবে এখন ত্রাণ তহবিল ও অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ, ত্রাণকাজে নানা রকম উপকরণ দান ও সরাসরি অংশ নিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বড় ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে ফেসবুক ত্রাণকাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের যোগাযোগ, অভিজ্ঞতা বিনিময়, পরামর্শ, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
পত্রিকা টিভি চ্যানেলগুলো ফেসবুক খুললেই এখন ত্রাণকাজের ছবি, ভিডিও আর এ–সংক্রান্ত হরেক রকম আবেদনে। বিভিন্ন গ্রুপ, সংগঠন, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, এমনকি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও মানুষ এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তাদের আহ্বান, অনুরোধ, অভিমত, অভিজ্ঞতা। মুঠোফোন নম্বর, ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর, যোগাযোগের ঠিকানা—এসব তুলে দিচ্ছেন। মানুষ তাতে সাড়াও দিচ্ছেন।
সবার চিন্তা কেবল বন্যা ও ভারতের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে। তবলা সামাজিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পাঠশালার পরিচালক সাধারণ সম্পাদক ও টিম পরিচালক শিশির ইসলাম বলেন আমাদের দেশটা আসলেই বদলে গেছে, আমাদের দেশের মানুষ দেশ নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে! এই দেশ আর যা–ই হোক, বিপথে যাবে না।’
ইএইচ