Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বন্যায় ক্ষতবিক্ষত সড়ক, পাঁচ শতাধিক পরিবারের চলাচলের ভরসা বাঁশের সাঁকো

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

আগস্ট ২৫, ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম


বন্যায় ক্ষতবিক্ষত সড়ক, পাঁচ শতাধিক পরিবারের চলাচলের ভরসা বাঁশের সাঁকো

গত কয়েকদিনের বন্যায় চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পানিতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো।

ভাটার সময় পানি নেমে যাওয়ার পর দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে প্রতিটি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সরেজমিনে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে এখনো নিমজ্জিত আছে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো।

উপজেলার ১১নং পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া, রূপচাঁদনগর, মগদাইসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মগদাই ডা. রাজা মিয়া সার্বজনীন সড়ক।

প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের বেশ কিছু স্থান সম্পূর্ণ তলিয়ে যাওয়ায় সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে ফলে এলাকার ৫শতাধিক পরিবারে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। বন্যার পানি সড়কের হাঁটু পরিমাণ উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়ার কারণে সড়কটির মাইজপাড়া কাশেম আলী সওদাগর বাড়ি সন্মুখস্থ স্থানে ৪০ ফুটের মতো সড়ক সম্পূর্ণ পানির স্রোতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বেশ কিছু স্থানে বিটুমিন ও কংক্রিটের স্তর তলিয়ে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে এলাকার বেশ কয়েকজন যুবক স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কের বিধ্বস্ত অংশের উপর ২০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। বর্তমানে কয়েক হাজার পরিবারের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকোটি।

স্থানীয়রা জানান, বিগত সময়ে সড়কের উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থ নয়ছয় করা হয়েছে। লোক দেখানো সংস্কার কাজের ফলে সড়কটি প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে জন ও যান চলাচলে সারাবছর ভোগান্তি পোহাতে হয় হাজার হাজার মানুষের।

সড়কের বিধ্বস্ত অংশ পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের দুর্ভোগের বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, রাউজানে সাম্প্রতিক বন্যায় ডা. রাজা মিয়া সড়কের বিধ্বস্ত অংশের সংস্কারের বিষয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইএইচ

Link copied!