নাটোর প্রতিনিধি
আগস্ট ২৭, ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
নাটোর প্রতিনিধি
আগস্ট ২৭, ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
নাটোরে মুরগি দামের সিন্ডিকেট ভাঙতে খোলা বাজারে নিজের ফার্মের সোনালি মুরগি নিজস্ব উদ্যোগে বিক্রি করছেন শফিকুল পোল্ট্রি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. শফিকুল ইসলাম মালেক।
নাটোর শহরতলীর বনবেলঘরিয়ায় প্রায় ১০ হাজার সোনালি মুরগি খামারে রয়েছে তার। প্রতি কেজি মুরগি বিক্রি করছেন ১৯০ টাকা কেজি দরে। খামার থেকে আড়াই শো পিস মুরগি আসতে বিশ মিনিট লাগে। কিন্তু মুরগি আনার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই সব মুরগি বিক্রি হয়ে যায়।
সকাল থেকেই নাটোরের কানাইখালী এলাকার প্রধান সড়কের পাশে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। কাছে গিয়ে দেখা যায় শামিয়ানা দিয়ে ঘেরা জায়গায় `শ খানেক মুরগি রেখে বিক্রি করা হচ্ছে। এমন লাইন ধরে মুরগি কেনার দৃশ্য নাটোর শহরে অনেক দেখা যায়নি।
যেখানে কিছুদিন আগেও সোনালি মুরগি বিক্রি হতো ৩২০ টাকায়। সেখানে খোলা বাজারে ১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। এভাবে প্রতি কেজিতে ১৩০ টাকা কম পেয়ে বেজায় খুশি হচ্ছে ক্রেতারা।
খোলা বাজারে নিজ উদ্যোগে নিজস্ব খামারের মুরগি বিক্রি করে সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছেন খামারের মালিক।
এতো কমে সোনালি মুরগি বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে তিনি আমার সংবাদকে জানান- এতদিন সিন্ডিকেটের কাছে মুরগি নিয়ে জিম্মি ছিলেন। ব্যবসায়ীরা তার কাছ থেকে মুরগি নিয়ে ঠিক সময়ে টাকা পরিশোধ করতো না। বাকী রাখতো। আবার ঐ সিন্ডিকেট কম দামে মুরগি নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করতো। আবার চাঁদাও দেয়া লাগতো। বর্তমানে সেই সিন্ডিকেট ভাঙার জন্যই তিনি নিজ উদ্যোগে সোনালি মুরগী বিক্রি করছেন বলে জানান।
সোনালি মুরগি কিনতে আসা রাসেল জানান- যখন মুরগির দাম কেজি প্রতি ৩২০ টাকা ছিল তখন ১-২টা মুরগি কিনতেই হিমশিম খেতাম। দেশের নতুন পরিস্থিতিতে সোনালি মুরগি খামারের মালিক নিজ উদ্যোগে মুরগি বিক্রি করায় ১৯০ টাকা কেজিতে কিনতে পারছেন। এই দামে তিনি ৬টা মুরগি কিনেছেন বলে জানান।
এছাড়াও মাজেদা রফিকুল নামের অন্যান্য সাধারণ ক্রেতারা বলেন- এতোদিন মুরগির দাম বেশি থাকায় পরিবারের মুখে মাংস তুলে দিতে পারিনি। অনেকদিন পর ২ টা মুরগি কিনেছেন। আজকে সন্তানদের নিয়ে একটু ভালোমন্দ খেতে পারবেন বলে জানান তারা।
ইএইচ