রংপুর ব্যুরো
আগস্ট ২৯, ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
রংপুর ব্যুরো
আগস্ট ২৯, ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সমাজকল্যাণমন্ত্রী, এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী, সাবেক এমপি মোতাহার হোসেন, ডিউক, মতিয়ারসহ ১৭৪ জন রংপুরে আরও দুটি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে মাহমুদুল হাসান মুন্না হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সাবেক স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ ১২৮ জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অপর একজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট ২০২৪) দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হলে বিচারক রাজু আহমেদ বাবু মামলাটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে রেকর্ড করার আদেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের বিক্ষোভ চলার সময় রংপুর মহানগরীর মিনি সুপার মার্কেটের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামীলীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র এবং লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় পিতা আব্দুল মজিদকে দুপুরের খাবার দিতে আসলে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা মাহমুদুল হাসান মুন্নাকে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, সাবেক স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক এমপি মোতাহার হোসেন, মতিয়ার রহমান, সফুরা খাতুন, ডিউক চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র টুটুল চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী সুইট, রাকিবুজ্জামান আহমেদ, রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলসহ ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের নামে হত্যা মামলা করেছে নিহতের পিতা আব্দুল মজিদ।
অন্যদিকে একই আদালতে ১৯ জুলাই ছাত্রজনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রংপুর সরকারি কলেজের ছাত্র জিম গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ঘটনায় হত্যাচেস্টা মামলা করেন তার পিতা রবিউল ইসলাম।
এই মামলার আইনজীবী আলাউদ্দিন আলমগীর জানান, এই হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, পুলিশ কমিশনারসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ১৯ জুলাই রংপুর সিটি পার্ক মার্কেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্বিচার গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় জীম। তার চোখের মধ্যে এখনও গুলি লেগে আছে। বের করা যাচ্ছে না। এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বসবাস করছে জীম।
আইনজীবী আরও জানান, আমরা মামলা করেছি। আশা করি দ্রুত তদন্ত এবং বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
আরএস