বরগুনা প্রতিনিধি
আগস্ট ৩০, ২০২৪, ০১:২২ পিএম
বরগুনা প্রতিনিধি
আগস্ট ৩০, ২০২৪, ০১:২২ পিএম
নানাবিধ দুর্নীতির কারণে বহিষ্কৃত আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে লুটপাট, ভাঙচুর, দখল, চাঁদাবাজি ও বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা গ্রহণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধাসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার সকাল ১০টায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, বুধবার ব্যক্তিগত কাজে চিলা যাচ্ছিলাম। তখন চলাভাঙ্গায় চায়না কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিদ্যুতে জালাল ফকিরের নেতৃত্বে তার সহযোগী মিল্টন, মিলন, রাহাতসহ অনেকে চাঁদাবাজি করছে। এমন তথ্য পেলে আমি ওখানের স্থানীয় লোকদের কাছে জানতে পেরে চাঁদাবাজির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এক পর্যায় মিল্টন, মোকলেসসহ ৫ জনকে আমতলীতে পার্টি অফিসে আসতে বলি। আমরা হাইওয়ে রাস্তায় উঠলে অতর্কিতভাবে ওরা পরিকল্পিতভাবে চাপাতি, রামদা দিয়ে হামলা করে। ঘটনাস্থলে আবুল কালাম আজাদ, মিলন আহত হয় এবং একটি মোটরসাইকেল ভেঙে নিয়ে যায়।
পরে বিকাল ৪টায় আমি পার্টি অফিসে আসলে আমাদের ছুরিকাটা স্ট্যান্ডে নেমে জালাল ফকিরের নেতৃত্বে তার ছেলে রাহাত আওয়ামী লীগের কর্মী বাহিনীসহ প্রায় ২০০ লোক নিয়ে আমার বড় ভাই হালিম মৃধার উপর অতর্কিত এলোপাতারিভাবে কোপ দেয়। তার পিঠে এবং আঙ্গুলে গুরুতর জখম হয়। এই হামলাকারীরা পল্লিবিদ্যুৎ এসে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবু মুছা, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, চাওড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রবিউলসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট থেকে এই বহিষ্কৃত নেতা জালাল ফকির বিভিন্ন জায়গায় দোকানে ভাঙচুর, হামলা, দখল, চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে। এই বহিষ্কৃত জালাল ফকির অতীতে হাইজ্যাক, গরু চুরি করতো।
বিগত হাসিনা সরকারের আমলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করে। সে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ছরোয়ার ফোরকান দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তার নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। সে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আঁতাত করে নানান অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘটায়। আওয়ামীলের সাথে হাত মিলিয়ে আমাদের এই সুশৃঙ্খল বিএনপিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম টারজান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম খান ও যুবদলের সদস্য সাবেক কাউন্সিলর মো. শামসুল হক।
এ ব্যাপারে বিএনপির বহিষ্কৃত আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাস্থলে প্রতিপক্ষরাই হামলা ও চাঁদাবাজি করেছে।
ইএইচ