Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪,

ফেনীর ৩ উপজেলায় বাড়িঘরে পানি: ২০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী

সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম


ফেনীর ৩ উপজেলায় বাড়িঘরে পানি: ২০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

ফেনীর আরও বেশ কয়েকটি উপজেলার বাসিন্দারা এখনও পানির সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। এর মধ্যে দাগনভূঞা, সোনাগাজী ও সদরের কিছু উপজেলার গ্রামীণ রাস্তাঘাটের পাশাপাশি বাড়িঘরে পানি রয়েছে।

স্থানীয় জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এখনও প্রায় ২০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর, মোহরবাগ, নেকান্তরপুর, চন্দ্রপুরসহ ৪-৫টি, রাজাপুর ইউনিয়নের নন্দিরগাঁও, সমাসপুর, সাপুয়া, এতিমখানা, মেহেদীপুরসহ ৬-৭টি, পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গজারিয়া, ওমরাবাদ, বৈঠারপাড়া, চন্দ্রদ্বীপ, কেরোনীয়াসহ ৯-১০টি, রামনগর ইউনিয়নের ৩-৪টি ও ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের করমুল্লাহপু, উত্তর করিমপুরসহ ৬-৭টি, সদর ইউনিয়নের ৩-৪টি, মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর, সালাম নগরসহ ৩-৪টি, জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর, নেয়াজপুর,আহমদপুর ওমরপুর, সোনাপুর, এনায়েতপুরসহ ৮-৯টি গ্রাম ও সোনাগাজী উপজেলা বেশকিছু এবং সদর উপজেলার কিছু এলাকা এখনও পানির নিচে রয়েছে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা বলেন, রোববার ১১ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। পানি কমছে ধীরে ধীরে। আজ হয়তো আরও একটু কমবে। তবে এখনও বিভিন্ন এলাকায় পানি রয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এ উপজেলার গজারিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারি ফুলকলি মডেল কিন্ডারগার্টেন এন্ড জুনিয়র হাইস্কুল থেকে পানি নেমেছে।তবে প্রধান সড়কের বেশকিছু অংশে পানি রয়েছে।কিছু বাড়ি-ঘর থেকে পানি নামলেও এখনও অধিকাংশতেই পানি দেখা গেছে।

একই উপজেলার উত্তর করিমপুর এলাকায় সোমবার পর্যন্ত চলাচলের সড়কটি হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত ছিল। ওই পানি মাড়িয়ে তিনশ গজ গেলেই উত্তর করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির নিচতলা থেকে এখনো পানি নেমেছে। স্কুলের নিচতলা ও দোতলায় এখনও শ খানেক ক্ষতিগ্রস্ত লোক অবস্থান করছেন।

জানতে চাইলে ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান বলেন, এখনও কিছু এলাকায় পানি রয়েছে। ঘরবাড়িতেও পানি আছে। পানি নামার পর ঘর পরিষ্কার করতেও সময় লাগে। তাই এখনও প্রায় তিন হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।

সোনাগাজী উপজেলার স্থানীয় সংবাদকর্মী আবদুর রহিম জানান, সেখানকার বেশকিছু গ্রামে এখনও বাড়ি-ঘরে এখনও পানি রয়েছে। সড়ক ও বেশ কয়েকটি সেতু তলিয়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ছে।

সদর উপজেলার তুলাবাড়িয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লোকজন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পরিষ্কারে ব্যস্ত।কারণ পানি কমার পর মেঝেতে কাদা জমে যায়। এখনও অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।

ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফাহমিদা হক বলেন, এখনও কিছু লোক আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজিবিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রচুর ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।

ইএইচ

Link copied!