তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার নরসুন্দা ও সুতী নদীসহ বিভিন্ন হাওর-বিলে এক শ্রেণির মৎস্য শিকারি বেড় ও সুতি জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনামাছ নিধন করছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাল-বিলে বর্ষার পানি প্রবেশের পর থেকেই মাছ শিকারের ধুম পড়ে গেছে। নদী থেকে খাল-বিলে পানি প্রবেশের পথেই বেড় ও সুতি জাল দিয়ে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন করা হয়েছে। এখন চলছে পোনা মাছ নিধন। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এ মাছ শিকার। বিভিন্ন বিলের পানি দ্রুতগতিতে নদীতে নামছে। পানি বের হওয়ার পথগুলোতে বসানো হয়েছে সুতি জাল, ভেসাল ও খড়া জাল।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার প্রতিদিনই পোনামাছ নিধন করে বিক্রি করছে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে। এইসব কারণে হাওরাঞ্চলে মাছের আকাল থাকে এতে হাওরের জীব বৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।
মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০-এ বলা হয়েছে, নির্বিচারে পোনা মাছ ও প্রজননক্ষম মাছ নিধন মৎস্য সম্পদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়। চাষের উদ্দেশ্য ব্যতীত কেউ প্রতিবছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর (আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি থেকে পৌষ মাসের মাঝামাঝি) পর্যন্ত ২৩ সেন্টিমিটারের (৯ ইঞ্চি) নিচে থাকা কাতলা, রুই, মৃগেল, কালবাউশ, ঘনিয়াসহ দেশি প্রজাতির মাছ নিধন করতে পারবে না। চাষের উদ্দেশ্যে মাছ ধরতেও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
অন্যদিকে মাছ ধরার ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা তার চেয়ে কম ফাঁসবিশিষ্ট জাল ব্যবহার করা যাবে না। আইন অমান্য করলে ১ মাস হতে সর্বোচ্চ ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রয়েছে।
বিআরইউ