ফেনী জেলা প্রতিনিধি:
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচিতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মো. তাজিম উদ্দিন নামে আহত এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
আহত তাজিম ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী ও জেলার দাগনভূঞা উপজেলা পূর্ব চন্দ্রপুর মডেল ইউনিয়নের বাহার উদ্দিনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট সকাল থেকে ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। এতে তাজিম তার আরও কয়েকজন বন্ধুসহ ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন। দুপুরের দিকে আ`লীগের একদল সশস্ত্র নেতাকর্মী আগ্নেয়াস্ত্র সজ্জিত হয়ে সেখানে হামলা চালায়।
এতে ৯জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এসময় তাজিম নিজেও গুলিতে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারা গেছেন মনে করে ফেলে চলে গেলে বিকেলে বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখনও সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ মামলার উল্লিখিত ৯ নম্বর আসামি ফেনী সদর উপজেলার দক্ষিণ কাজিরবাগ গ্রামের বাসিন্দা বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচিত ও স্থানীয় বিএনপির দলীয় সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানুর ছোট জিয়া উদ্দিন ওরফে ডালিমকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় আহত এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে আ`লীগ সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিআরইউ
