Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ফেনীর ৪০ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ

ফেনী প্রতিনিধি

ফেনী প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম


ফেনীর ৪০ ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ

ফেনীর ৬ উপজেলার ৪০টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্থানীয় জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

বলেন, জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে গত মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) এ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

এ সংক্রান্ত ফেনী জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত পত্রে ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব কর্মকর্তাদের ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফরহাদ নগর, পাঁচগাছিয়া, বালিগাঁও, কালিদহ, ফাজিলপুর ও ছনুয়া এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) শর্শদি, ধর্মপুর, কাজিরবাগ, লেমুয়া, ধলিয়া ও মোটবী ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্ব  প্রদান করা হয়েছে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রাজাপুর, সিন্দুরপুর এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) মাতুভূঞা, জায়লস্কর, ইয়াকুবপুর ও পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চর চান্দিয়া, সোনাগাজী সদর, আমিরাবাদ ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) চর মজলিশপুর, বগাদানা, মঙ্গলকান্দি, মতিগঞ্জ ও চর দরবেশ ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রাঁধানগর ও মহামায়া, সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) শুভপুর, ঘোপাল ও পাঠান নগর ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ফুলগাজীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফুলগাজী সদর, মুন্সিরহাট ও আমজাদহাট এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দরবারপুর, আনন্দপুর ও জিএমহাট ইউনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

একইভাবে জেলার পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিথলিয়া ও বক্সমাহমুদ এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব  দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলে জেলার ৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদেই লোক দেখানো নির্বাচনের আয়োজন করে ভোটার শূন্য মাঠে আওয়ামী ক্যাডারদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ঘোষণা দেওয়া হয়।

ওই সরকারের পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এসব পরিষদকে দলীয় কার্যালয়ের মতো করে বিরোধী মত দমনের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন স্থানীয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ নিজাম উদ্দিন হাজারীর বাহিনীর সদস্যরা।

ফলে ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় এসকল তথাকথিত জণপ্রতিনিধিরা।এশূণ্যতা পূরণে অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে পরিষদগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দেয় স্থানীয় জেলা প্রশাসক।

ইএইচ

Link copied!