তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা সদর বাজারে।
সংস্কার আর সচেতনতার অভাবে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার প্রধান এই বাজারের ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরে গিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে রয়েছে।
একদিকে জলাবদ্ধতা অন্যদিকে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাজার ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি বাজারে আসা ক্রেতাদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বাজার থেকে প্রতিবছর প্রায় অর্ধ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে সরকার। তারপরও বাজার উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
তারা বলেন, তাড়াইল সদর বাজারে সপ্তাহে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার হাট বসে। সংস্কারের অভাবে ড্রেনগুলো নোংরা ময়লা-আবর্জনায় ভরে গিয়ে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে বাজারের অলিগলি জনগণের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নষ্ট। নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিন। বাজারের কমিটি আছে। প্রতিবছর বাজার থেকে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করে সরকার। অথচ বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ও জনগণের নেই কোনো নাগরিক সুবিধা। আমরা বিষয়টি বাজার কমিটিকে অনেকবার জানিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। বর্ষা মৌসুমে এবারও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টিতে বাজারের যে পরিস্থিতি হয় তাতে দ্রুত ড্রেন সংস্কার না করা হলে ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে যাবে।
শুক্রবার তাড়াইল সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, চাল মহল, খলিফা পট্রি ও বাজারের সদর গলিসহ প্রতিটি অলিগলির ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। বাজারের ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে ড্রেনের ভেতর দোকানের ময়লা-আবর্জনা, পঁচা মাছ-সবজি ও পঁচা খাবার ফেলছে। আর সেই ময়লা-আবর্জনার উপর বা পাশে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করছে অনেকে। ফলে ড্রেনগুলো ভরে গেছে। ড্রেনের পাশ দিয়ে চলাচল করতে গেলেই দমবন্ধ হয়ে আসে পঁচা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে।
তাড়াইল সদর বাজারের ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরপুর বিষয়টি স্বীকার করে তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইম দাদ খান নওশাদ বলেন, ইতিমধ্যে ড্রেনগুলো পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অতিদ্রুত বাজারের সকল ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাজারের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ব্যবসায়ী ও জনগণের অসচেনতার কারণে। প্রতিদিন ময়লা-আবর্জনা দিয়ে ড্রেনগুলো ভরে রাখেন তারা। এজন্য মূলত পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হয়। সবাই যদি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলে তাহলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা কমে যাবে।
ইএইচ