Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পিরা

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম


দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পিরা

সারাদেশের মতো শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা চলছে বীরগঞ্জের মন্দিরগুলোতেও।

প্রতিমা তৈরির নিপুণ কারিগরেরা রাতদিন কাজ করছেন অপরূপ রূপে দেব দেবীদের প্রতিমাকে সাজিয়ে তুলতে।
ক্রমেই এগিয়ে আসছে দুর্গাপূজার তিথি।

পঞ্জিকা মতে আর মাত্র ১২ দিনের অপেক্ষা। ঢাকে বাড়ি পড়বে ১১ অক্টোবর মহা ষষ্ঠির দিন। স্বামীর বাড়ি কৈলাস থেকে মর্ত্যে বাপের বাড়ি আসবেন দশভুজা দূর্গা। সঙ্গে থাকবে তার চার ছেলে-মেয়ে, ফলে ব্যস্ততা বেশি হওয়ায় পুরুষের পাশাপাশি পালপাড়ার নারী ও শিশুরাও কাজ করছেন রাতদিন।

কিন্তু প্রতিমা তৈরির উপকরণের মূল্যবৃদ্ধিতে লাভ হচ্ছে না বলে দাবি কারিগরদের।

আর ক’দিন বাদেই ভক্তদের আশা পূরণ করতে শান্তির বার্তা নিয়ে মর্ত্যলোকে আসছেন দেবী দুর্গা। দেবী দুর্গার যে প্রতিমাকে ভক্তির মাধ্যমে দেবীর মন জয়ের প্রার্থনা করবেন ভক্তরা সেই প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত বীরগঞ্জ উপজেলা  প্রতিমা কারিগররা।

মান ভালো হওয়ায় এ উপজেলার কারিগরদের তৈরি প্রতিমায় জেলার সকল পূজামন্ডপের পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পূজামন্ডপগুলোতেও যাবে এখানে তৈরি দুর্গা প্রতিমা।

আর তাই এখানকার পাল ও কুমার বাড়ির ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজ-গামীরা রাত-দিন পরিশ্রম করছেন ভক্তদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিমা তৈরি করতে।

অধিকাংশ প্রতিমারই অবয়ব তৈরি হয়েছে এখন অপেক্ষা শুধু রঙ আর তুলির আঁচড়ের। নিপুণ হাতের ছোঁয়া আর কঠোর পরিশ্রম করে যারা তৈরি করেছেন প্রতিমা, তাদের অনেকেই আজ বিমুখ। কারণ প্রতিমা তৈরির অন্যতম উপকরণ মাটি, কাঠ, খড়, বাঁশ, লোহা ও রঙসহ সকল পণ্যের মূল্য যে হারে বেড়েছে সে হারে বাড়েনি প্রতিমার দাম। এবার বড় প্রতিমা ৩০-৪০ হাজার ও ছোট প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ হাজার টাকায়। ফলে লাভ হবে না কারিগরদের।

তারপরও ধর্মীয় আবেগ ও পেশার কারণে বছরের পর বছর প্রতিমা তৈরি করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।

প্রতিমা কারিগর ধনপতি রায় বলেন, প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। প্রতিটি পাড়াতেই তৈরি করা হচ্ছে একাধিক দুর্গা প্রতিমা। কারিগরেরা রাত-দিন প্রায় ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা কাজ করছে অর্ডার নেয়া প্রতিমা তৈরি শেষ করতে।

প্রতিমা কারিগর রিমি দাশ বলেন, এখানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমানভাবে কাজ করছে। দেবী মাকে সাজাতে শত ব্যস্ততায়ও যত্ন সহকারে কাজ করা হচ্ছে।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত কারিগরদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

ইএইচ

Link copied!