কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
অক্টোবর ১, ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
অক্টোবর ১, ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়ি ফিরে গেছে। তবে বেড়েছে নদী ভাঙন।
আকস্মিক বন্যায় অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। বর্তমানে বন্যার পানি নামতে থাকায় ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের বিভিন্ন স্পটে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, হাট-বাজারসহ বিস্তীর্ণ জনপদ।
এছাড়াও কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবার আকস্মিক বন্যায় আমনসহ ৫০০ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এরইমধ্যে গতকাল উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া এলাকার একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এমন ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এখানকার বাসিন্দারা।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া এলাকাবাসীরা জানান, মাত্র দুইদিনে আমাদের এলাকার প্রায় ৫০-৬০টি পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। আর যারা হুমকিতে আছে তারা বাড়িঘর সরিয়ে অন্য এলাকায় চলে যাচ্ছে। আমরা এখানকার মানুষ খুব কষ্টে আছি ভাই।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র তিস্তা, দুধকুমার নদীর ৭টি পয়েন্টে বন্যার পানি সমতলে হ্রাস পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হচ্ছে। তবে ভাঙন রোধে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় কাজ করার কথা জানান।
ইএইচ