শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
অক্টোবর ২, ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
অক্টোবর ২, ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শরীয়তপুরের মৃৎ শিল্পীরা। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উৎসব উপলক্ষ্যে শরীয়তপুর জেলায় এ বছর ১০২ টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গা মায়ের অর্চনা।
এরমধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৩৩টি, নড়িয়া উপজেলায় ৩৩টি, জজিরা উপজেলায় ৫টি, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ১৭টি, ডামুড্যা উপজেলায় ৮টি এবং গোসাইরহাট উপজেলায় ৬টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। কাশফোটা শরৎ এর শারদীয় দূর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতেই মন্দিরগুলোতে চলছে পূজার প্রস্ততি।
প্রতিমা শিল্পীর সুনিপুণ ছোঁয়া আর রংতুলির আঁচড়ে দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে দিন রাতভর চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। আর কয়েকদিন পরেই পূজা তারই ধারাবাহিকতায় দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শরীয়তপুর জেলার মৃৎ শিল্পীরা। ইতিমধ্যে প্রতিমার কাঠামোর মাটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জার কাজ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা হিন্দুপাড়া গুলোতে আগাম শারদীয় উৎসবের আমেজ লক্ষণীয়। উচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্র করে মহা-সম্মেলন হয় বলে এ পূজাকে বলা হয় সার্বজনীন পূজা। আর শরৎকালে হয় বলে বলা হয় শারদীয় উৎসব।
দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে শরীয়তপুর জেলার ৬ টি উপজেলার ১০২টি মণ্ডপের পূজা উদ্যাপন কমিটি ব্যস্ত সময় পার করছে। কোনো কোন মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি সাজসজ্জার প্রস্ততি ও চলছে।
আগামী ৮ ই অক্টোবর ২০২৪ ও ২১শে আশ্বিন ১৪৩১ বাংলা রোজ মঙ্গলবার দেবী দুর্গার বোধন পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
স্থানীয় কারিগর ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে কারিগরবৃন্দ এখানে এসে তৈরি করছে মাটির প্রতিমা। প্রতিটি পূজামন্ডপের জন্য তৈরি করা হচ্ছে দুর্গা, লক্ষ্মী,সরস্বতী, কার্তিক, গনেশ, অসুর, সিংহ, মহিষ, পেঁচা, হাঁস, সর্পসহ বিভিন্ন প্রতিমা।
দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের আবালবৃদ্ধ বনিতা নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ এ সর্ববৃহৎ শারদীয় উৎসবকে স্বার্থকে করতে প্রহর গুনছে। এবার দেবীর দোলায় আগমন এবং দেবীর ঘোটকে গমন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া নিবাসী মৃৎশিল্পী রামকৃষ্ণ পাল বলেন এ সময় আমরা প্রতিমা তৈরির কাজে খুব ব্যস্ত থাকি। এ সময় আমাদের দিন রাত শ্রম দিতে হয়। আর কয়েকদিন পরেই দুর্গা পূজা আমাদের প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এখন রং ও সাজসজ্জার কাজ চলছে।
শরীয়তপুর জেলায় যে সকল মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হয় তার মধ্যে অনেকগুলো মন্দিরে মৃৎ শিল্পীগণ উপস্থিত হয়ে স্ব-স্ব মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ করেন। এছাড়া বিশেষ করে শরীয়তপুর সদর উপজেলার কোটাপাড়া পাল বাড়িগুলোতে এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার কার্তিকপুর বেশ কয়েকটি পাল বাড়িতে প্রতিমা তৈরির কাজ করা হয়। সেই সাথে সাথে এই জেলার মৃৎ শিল্পীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে প্রতিমা তৈরি করেন।
বিআরইউ