Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

রাজবাড়ীতে সরকারি কলেজের শিক্ষক গুমের ঘটনায় মামলা দায়ের

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ী প্রতিনিধি

অক্টোবর ২, ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম


রাজবাড়ীতে সরকারি কলেজের শিক্ষক গুমের ঘটনায় মামলা দায়ের

২ বছরেরও বেশী সময় ধরে নিখোঁজ রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের শিক্ষক আবু জোফার মো. সাইফুল্লাহকে (৫৪) গুমের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (০২ অক্টোবর) রাজবাড়ীর সদর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন কলেজ শিক্ষক সাইফুল্লাহর স্ত্রী হোসনেয়ারা পারভীন। 

এ মামলায় রাজবাড়ী শহরের শ্রীপুর এলাকার হুমায়ন কবীর সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন অব ফরিদপুরকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মামলায় শিক্ষক সাইফুল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে প্রকাশ, রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত প্রভাষক আবু জোফার মো. সাইফুল্লাহ সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৮ জুন পর্যন্ত কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন।  তার পিতার নাম মওলানা আঃ মতিন। গ্রামের বাড়ী রাজবাড়ী সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের পাঁচুরিয়া গ্রামে। বৈবাহিক জীবনে ২ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক।

মামলার বাদী নিখোঁজ কলেজ শিক্ষক সাইফুল্লাহর স্ত্রী ফরিদপুরের বোয়ালমারী ময়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হোসনেয়ারা পারভীন বলেন, গত ২ বছরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ী সহ বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজি করে তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। পুত্র নাফিস নিয়াজ খাঁন রাজবাড়ী থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ এবিষয়ে কোন রহস্য উ˜্ঘাটন করতে পারেনি।

স্ত্রীর অভিযোগ, রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের গোপীনাথদিয়া এলাকার কোটি টাকা মূল্যের জমি আত্মসাৎ করার জন্য  রাজবাড়ী শহরের শ্রীপুর এলাকার হুমায়ন কবীর সহ একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে।
রাজবাড়ী সদর আমলি আদালতে দায়েরকৃত মামলায় মো. হুমায়ুন কবীর, মুক্তার, জাহাঙ্গীর, আশিক, সুজন, ফিরোজ মোহাম্মদ আলী ও শামীম ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম ইকরামুল কবীর সহ ৭ জনকে সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

রাজবাড়ী জেলা বারের আইনজীবী এ্যাড. খান মোহাম্মদ জহুরুল হক বলেন, আদালতের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই ফরিদপুরের পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

আরএস

Link copied!