Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

দুর্ভোগে ৭ উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ

কড়িকান্দি ফেরিঘাট-বাঞ্ছারামপুর-জীবনগঞ্জ বাজারের ২৩ কি.মি. সড়কের বেহাল দশা

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

অক্টোবর ৩, ২০২৪, ১২:১৬ পিএম


কড়িকান্দি ফেরিঘাট-বাঞ্ছারামপুর-জীবনগঞ্জ বাজারের ২৩ কি.মি. সড়কের বেহাল দশা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের কড়িকান্দি ফেরিঘাট-বাঞ্ছারামপুর-জীবনগঞ্জ বাজার সড়কের ১৮ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। সড়কের বিভিন্ন জায়গার কারপেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। প্রায়ই গর্তে যানবাহন আটকে দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর, কসবা, কুমিল্লা জেলার হোমনা, তিতাস, মুরাদনগর ও দেবিদ্বার উপজেলার লোকজন ও যানবাহন যাতায়াত করছে। খানাখন্দের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে ৭ উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তার বেহাল দশা হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সড়ক ও জনপথের ৫১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে  সদর থেকে হোমনা ১৩ কিলোমিটার। কাড়ি কান্দি ফেরিঘাট থেকে পূর্বহাটি সল্পা সেতু পর্যন্ত পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার। কড়িকান্দি ফেরিঘাট থেকে জীবনগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। 

এ সকল সড়ক ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর,কসবা কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, দেবিদ্বার, হোমনাও তিতাস উপজেলার লোকজন এই পথে মালামাল আনা নেওয়া ও যাতায়াত করে। বিশেষ করে কড়িকান্দি ফেরি পার হয়ে স্বল্প সময়ে ঢাকা যাওয়া যায় এ কারণে এরা সড়কটি পার্শ্ববর্তী উপজেলার চালক ও যাত্রীদের  কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করলেও সড়কগুলোর বেহাল দশা। বিশেষ  করে কড়িকান্দি ফেরিঘাট -বাঞ্ছারামপুর সদর- জীবনগঞ্জ বাজার সড়কের ২৩ কিলোমিটার বেহাল দশা। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় কারপেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ।এইসব গর্তে কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তার বেহাল দশা হলেও সংস্কারের তেমন উদ্যোগ নেই সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের।

সরেজমিন কড়িকান্দি -বাঞ্ছারামপুর- জীবনগঞ্জ সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, একটু বৃষ্টি হলেই গর্তগুলো দিয়ে যান চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে । এই সকল গর্তের কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা বিশেষ করে ছয়ফুলাকান্দি বাজারে উত্তর ও দক্ষিণ পাশের গর্তগুলো এতই গভীর যে সিএনজি বৃষ্টি হলে তলিয়ে যায়, দশআনীমোরে ও পাশে রয়েছে বড় দুটি গর্ত দীর্ঘদিন গর্তগুলো সংস্কার না হওয়ায় কোন রকমে ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল করছে।

এই সড়কটি দিয়ে জেলা সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এলাকার মানুষের। আইয়ুবপুর গ্রামের বিভিন্ন জায়গায়, চরছয়ানী ও কানাই নগরধ, দূর্গারামপুর- জগন্নাথপুর ব্রিজের পূর্বপাশের রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে ।একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়  সড়ক তখন যান চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এই রুটে যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।

সিএনজি চালক সাদ্দাম হোসেন জানান, এই রাস্তাটি অনেক বছর ধরে বেহাল দশা। মাঝেমধ্যে একটু একটু ইট ফেলে মাত্র এতে আরো যান চলাচল ব্যাহত হয়, বৃষ্টির দিনে যান চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় গাড়ি উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়নি।

নবীনগরের মাইক্রোবাস চালক শাহ জালাল জানান, এই সড়কটি ব্যবহার করে প্রায়ই ঢাকা যাতায়াত করি, কিন্তু রাস্তার বিভিন্ন অংশ বড় বড় গর্ত থাকার কারণে যান চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয় । একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকার কারণে গাড়ি আটকে যায় গর্তের মধ্যে। অনেকদিন যাবত এই অবস্থা থাকলেও সংস্কার না হওয়া বাড়ছে আমাদের দুর্ভোগ।

ছয়ফুল্লাকান্দি বাজারের তেল ব্যবসায়ী স্বপন বলেন,  ছয়ফুল্লাকান্দি বাজারের সড়কের বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে । বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে গাড়ি আটকে যাচ্ছে, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা আহত হচ্ছে অনেকে। বৃষ্টি হলে নদীতে পরিণত হয় রাস্তাটি। ছয়ফুল্লাকান্দি বাজারে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাতায়াত ভোগান্তির কারণে ঢাকা থেকে মালামালবাহী গাড়ি আসতে অনীহা প্রকাশ করে।

ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, এই দীর্ঘদিন  যাবৎ বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। আমার ইউনিয়নের মাছিমনগর হতে কাঞ্চন পুর পর্যন্ত চলাফেরায় খুব কষ্ট হয়। বৃষ্টি এলেই হাঁটু পানি লেগে যায়। বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়েছে গাড়িতে চলাফেরা খুব কষ্ট হয়। রাস্তাটি মেরামত করা অতীব জরুরি।

সড়ক ও জনপদের বাঞ্ছারামপুর কার্যালয়ের  উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে ফেরিঘাট থেকে জীবনগঞ্জ বাজারের রাস্তায় অনেক জায়গায় বৃষ্টির কারণে ভেঙে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে আমাদের নিজস্ব লোকজন দিয়ে এই গর্তগুলো সংস্কারের কাজ করছি ।

বিআরইউ

Link copied!