কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অক্টোবর ৮, ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
অক্টোবর ৮, ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ৩নং মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে কয়েকজন তরুণ অচেতন ও অজ্ঞাত এক নারীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।
জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক অগত্যা চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে নেন। সেই থেকে সোমবার পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের হান্ডিখানার করিডোরে পড়ে আছেন অজ্ঞাত এই নারী।
আশপাশের অন্যান্য রোগীদের স্বজনরা নানা ভাষায় রোগীটির দুরাবস্থার বিবরণ দিচ্ছেন এবং একটা কাঙ্ক্ষিত সুরাহার দাবিও করছেন কেউ কেউ। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে অজ্ঞাত এই রোগীর অবস্থা গণমাধ্যমে তুলে ধরে সহযোগিতার আবেদন করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড ট্রাস্ট ব্লাস্ট কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শংকর মজুমদার এবং একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
শংকর মজুমদার বলেন, গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরে আমি নিজে হাসপাতালে গিয়ে অচেতন অবস্থায় করিডোরে অজ্ঞাত এই রোগীর বিষয়ে আশপাশে রোগীর স্বজনদের কাছে দুরাবস্থার কথা শুনে মনে হলো এ মুহুর্তে রোগীটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া এবং তার স্বজনদের খুঁজে বের করা জরুরি। সেকারণে আমি চাই রোগীর পরিবারের কাছে সংবাদটি যাক এবং চিকিৎসার পাশাপাশি স্বজনদের পরিচর্যায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাক।
এ বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমানও অজ্ঞাত এই রোগীটির সুন্দর সুরাহার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেই জানালেন, গত ১০ দিন ধরে স্বজনহীন অজ্ঞাত রোগীটিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য চিকিৎসা দিচ্ছেন। এই অবস্থায় গত ১০দিন ধরে টিকে থাকা রোগীকে সঠিক পরিচর্যায় রাখতে পারলে হয়ত চিকিৎসায় ভালো হয়েও উঠতে পারতো। কিন্তু স্বজনহীন হওয়ায় রোগীটির সঠিক কেস হিস্ট্রি আমরা নিতে পারছি না। এ মুহুর্তে রোগীটির জন্য পরিচয় শনাক্তসহ স্বজনদের উপস্থিতি খুব বেশি দরকার। তাহলে হয়ত আমরা সর্বোচ্চ প্রত্যাশিত ও প্রয়োজনীয় উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করতে পারবো।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, গত ১০ দিন ধরে হাসপাতালের আয়োজনে নানা ভাবেই এই অজ্ঞাত রোগীকে সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। আমরা স্যোস্যাল মিডিয়াতেও তার ছবিসহ সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেছি যাতে রোগীর আত্মীয় স্বজনরা তাকে শনাক্ত করতে পারেন। কিন্তু এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ১০। সঠিক পরিচর্যা না থাকায় এভাবে থেকে রোগীর আরও কোন জটিলতাও সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সাধ্যানুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।
ইএইচ