বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
অক্টোবর ১০, ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
অক্টোবর ১০, ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে গত ২০ দিনে ১৫টি দোকানে চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটছে। এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় ৬ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়। একই মাসে তিনবারের চুরি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
১ম ধাপে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে হ্যাপি ইলেকট্রিক, চৈতি ইলেকট্রিক, স্মৃতি এন্টারপ্রাইজে চুরি হয়। তাদের নগদ অর্থসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
২য় ধাপে গত ২৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ৪টি দোকানে চুরি হয়। ২য় পর্যায়ে যাদের দোকানে চুরি হয়, আল মদিনা হোটেল এন্ড সুইটমিট, বিশ্বকর্মা হার্ডওয়্যার্ড, বিসমিল্লাহ ক্লথ স্টোর, জাকির মিয়ার সেলুনের দোকান। এই চারটি দোকানের নগদ অর্থসহ প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়।
৩য় ধাপে গত ৭ অক্টোবর দিবাগত রাতে ৭টি দোকানে চুরি হয়। যে দোকানগুলোতে চুরি হয়, চাউরা হোমিও হল, বন্ধু মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার, মা বস্ত্রালয়, তৃপ্তি মেডিকেল হল, ইমন দাসের লন্ড্রির দোকান, মো. ফয়েজ মিয়ার সেলুনের দোকান, মনিল রবি দাসের জুতার দোকান। এই ৭টি দোকানের নগদ অর্থসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়।
সিঙ্গারবিল বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তারা প্রতিদিন পাহারাদারকে দৈনিক চাঁদা দেওয়ার পরও এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটেই চলছে, বাজার কমিটিদেরকে বিষয়টি জানালে তারা দেখবো দেখবো বলে। এরই মাঝে আবারও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেল। আমরা ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা আর ব্যবসা করতে পারব না।
সিঙ্গারবিল বাজারের পাহারাদার সেন্টু মিয়া বলেন, আমরা ৪ জন বাজার পাহারা দেই। দোকানের পিছন দিকে চুরি হয়। আর পিছনে যাওয়ার কোনো রাস্তা নেই। আমরা চুরি হওয়ার কোনো টের পাই না।
সিঙ্গারবিল বাজারের সাবেক সভাপতি আবুল ফায়েজ বলেন, পাহারাদারকে আমি জিজ্ঞেস করেছি। তারা বলেছে পিছনের দিক দিয়ে চুরি হয়। পিছনে তারা যাওয়ার রাস্তা নেই। আমি দোকানদারদের থানায় অভিযোগ দিতে বলেছি। আগামী শনিবার আমরা বিষয়টি নিয়ে বসব।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইএইচ