Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪,

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার

জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক

সিলেট ব্যুরো

সিলেট ব্যুরো

অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ১০:২২ এএম


জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি বলেছেন, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আমরা বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। এই পরিচয় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে প্রেরণা যোগায়।

বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব মানুষে-মানুষে আত্মীক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে অশুভ শক্তির বিনাশ কামনা করে সুন্দরের পথে ধাবিত করার শিক্ষা দেয়। শারদীয় দুর্গোৎসব সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

রোববার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা নিরঞ্জন কার্যক্রমের সূচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

নগরীর চাঁদনীঘাঠে স্থাপিত সুবোধ মঞ্চে প্রতিমা নিরঞ্জন কার্যক্রম পরিচালনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রদীপ কুমার দেব।

পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জন ঘোষ, মহানগর সাধারণ সম্পাদক এপেক্সিয়ান চন্দন দাস ও যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেবব্রত চৌধুরি লিটনের যৌথ পরিচালনায় বিশিষ্টজনদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরি, এসএমপি কমিশনার মো. রেজাউল করিম পিপিএম সেবা, সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেকার আহম্মদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সুবর্ণা সরকার, সিলেট মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরি, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সুদীপ সেন বাপ্পু, বাসদ সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর প্রমুখ।

সভায় বক্তারা শান্তিপূর্ণভাবে ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে সহযোগিতা করায় সিলেট বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, এসএমপি, সিলেট রেঞ্জ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপি,  ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেটের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দসহ সিলেটের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

বেলা ৩টা থেকে শুরু হওয়া প্রতিমা নিরঞ্জন কার্যক্রম রাত ৯টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এতে ৭৮টি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন করা হয়।

ইএইচ

Link copied!