মিরাজ আহমেদ, মাগুরা
অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
মিরাজ আহমেদ, মাগুরা
অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
জনবলের অভাবে মাগুরার সড়কগুলো ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
মাগুরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে এমএলএসএস এবং মালি দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। নিয়মিত মাস্টাররোল শ্রমিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং সেতু মেরামত পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।
ফলে অফিসটির পক্ষে এ জেলার সড়ক ও সেতুগুলো ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সওজ’র অধীনে (আনুমানিক ২৩৭ কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক রয়েছে)। অফিসটির আওতা থাকা ৩টি প্রজেক্টসহ ছোট-বড় ব্রিজ ও কালভার্টের সংখ্যা (১১০টি) সড়ক ও সেতুর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত সড়ক নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়াতে মাগুরা সওজ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
তবে জনবল সংকটই সওজ বিভাগের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে।
মাগুরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী মাগুরা সওজ বিভাগের কর্মকর্তা- কর্মচারীর সংখ্যা ১৪ জন। সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম বদলি হলে এএম আতিক উল্লাহ ১৪ জুলাই নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে মাগুরাতে যোগদান করেন।
গত ৭ অক্টোবর নির্বাহী প্রকৌশলী এএম আতিক উল্লাহ একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে (শিমুল হোসেন) বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ঢাকায় বদলি হন। সদর থানায় সড়ক বিভাগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মামলা হয়েছে ৩টি।
শিমুল হোসেন আহত হয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় নিজ বাড়ি যশোরে আছেন। মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন গোলাম কিবরিয়া। তিনি গত সোমবার সকালে মো. নুরুজ্জামান উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং মো. রাহাত খান উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগে চার্জ নেবার পরে প্রথম আসেন এবং পরক্ষণেই চলে যান যশোর।
মাগুরা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষক নিশিকান্ত একযোগে মাগুরার তিনটি সরকারি অফিসের (পিডব্লিউডি, জনস্বাস্থ্য, এবং সড়কের জনপথ) হিসাবরক্ষক হিসেবে নিয়োজিত। তার অনুপস্থিতিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিশিয়াল কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
অফিসটিতে ১০ জন কর্মচারী রয়েছে তারা হলেন, সার্ভেয়ার মো. ইলিয়াছ আহমেদ, কার্য-সহকারী কাজী আনোয়ার হোসেন, কার্য-সহকারী হাসিবুর রহমান, কার্য-সহকারী তরিকুল ইসলাম, কার্য-পরিদর্শক মো. জাকারিয়া মিয়া, গাড়ি চালক মো. আব্দুল মান্নান,সু মন কুমার বিশ্বাস সড়ক শ্রমিক, মো. ইকবাল হোসেন অফিস সহায়ক মো. আশরাফ হোসেন ভাদু সড়ক শ্রমিক, মো. মেহেদী হাসান পান্না কম্পিউটার অপারেটর।
ওয়ার্কচার্জডভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত করা সম্ভব না হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মাগুরা সড়ক বিভাগ।
সূত্র আরও জানায়, মাগুরা সওজ বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী এবং এসডির মত কর্মকর্তারা নেই। অপ্রতুল জনবলের কারণে অধিদপ্তরের একজন প্রকৌশলীকে একাধিক প্রকল্পে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাতে প্রকল্পের কাজে গুণগত মান ঠিক রাখা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।
এ বিষয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুলনা জোন মো. জাকির হোসাইন জানান, মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জনবল সংকটের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। শূন্য পদগুলোয় নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
জনবল সংকট প্রসঙ্গে সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) সৈয়দ মইনুল হাসান জানান, শূন্য পদগুলোয় নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি শেষ পর্যায়ে অধিদপ্তরের নতুন একটি জনবল কাঠামো তৈরির কাজ। নতুন জনবল কাঠামো অনুমোদন হলে অধিদপ্তরের কার্যক্রম আরও বেশি গতিশীল হবে। আমি জানি মাগুরা লোকবল ঘাটতি আছে। একটি ঘটনায় আমরা নির্বাহী প্রকৌশলীকে সরিয়ে নিয়েছি। আমরা শূন্যস্থানগুলো ঠিক করে নিব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা নেই। একটা সমস্যার সমাধান তো আর সাথে সাথে ঠিক করা যায় না। আমরা টেককেয়ার করছি যত দ্রুত সম্ভব লোকবল সংকট কাটানো যায় মাগুরায়।
ইএইচ