Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪,

হুমকিতে ফটিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি সড়ক

সর্তা খালের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসত-ভিটা

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম


সর্তা খালের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসত-ভিটা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার খিরাম ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় সর্তা খালের মারাত্মক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে খালে বিলীন হয়েছে কয়েকশথ বসতবাড়ি ও শত একর কৃষিজমি।

এতে ভিটেমাটি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাজারও মানুষ। এখনো হুমকিতে রয়েছে আরও কয়েকশতাধিক ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, শুধু সার্ভেতে সীমাবদ্ধ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি অর্থ বরাদ্দ পেলে শিগগির খালের ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবেন তারা।

জানা গেছে, পার্বত্য এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়ে ফটিকছড়ির খিরাম ও ধর্মপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সর্তার তীব্র স্রোতে সহায় সম্বল ও ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খিরাম ইউনিয়নের মগকাটা, হচ্ছারঘাট এলাকার সর্তার ভাঙনের কবলে পরে বহু পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। প্রতি বর্ষা মৌসুমে চরম উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করেন সর্তা পাড়ের মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খিরাম ইউনিয়নের পূর্বপাশের বেশিরভাগ এলাকা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে কৃষিজমি, বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়সহ নানা স্থাপনা হুমকিতে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে এলাকাগুলোর চার শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। খালে বিলীন হয়েছে কয়েকশথ একর কৃষিজমি। ভাঙন অব্যাহত থাকলে ও প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা না নিলে সবই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

খিরাম ইউনিয়নের বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম জানান, সর্তা খালের ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বিগত দিনে শতাধিক বাড়ি খালে বিলীন হয়েছে। এখনই ভাঙন ঠেকাতে না পারলে অন্যান্য স্থাপনাও বিলীন হয়ে যাবে।

খিরাম ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, সর্তার ভাঙনে প্রায় দেড়- দুইশথ পরিবারের বসত-ভিটা বিলিন হয়েছে।খিরামের ২,৩, ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ফটিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি কানেকটিং সড়কটিও ভাঙনের কবলে পড়েছে, যা যেকোনো সময় বিলীন হতে পারে। ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাবর আবেদন করেছি। একবার এসে পরিমাপ করে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাজ বা খাল ভাঙন ঠেকাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের সহকারী প্রকৌশলী সোহাগ তালুকদার বলেন, সর্তা খালের দুটি পয়েন্টে ৩০০মিটার ভাঙনের কাজ আমরা দ্রুত শুরু করব।

বিআরইউ
 

Link copied!