Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪,

তীব্র ভাঙনের শিকার পদ্মা পাড়ের মানুষ

মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

মিরপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম


তীব্র ভাঙনের শিকার পদ্মা পাড়ের মানুষ

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তিন ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন, বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর, বারুইপাড়া ইউনিয়নের মির্জানগরের বসতবাড়ি, কৃষিজমি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কবরস্থান, স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও জাতীয় মহাসড়কসহ সরকারি স্থাপনা ভাঙনের কবলে পড়েছে।

এসব স্থাপনা রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

রোববার বিকালে বারুইপাড়া ইউনিয়নের মির্জানগরে পদ্মা নদীর অংশে দেখা যায়, পদ্মার আগ্রাসী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই এলাকার বসতবাড়ি, কৃষিজমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বসতবাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন অনেকে। কেটে নিয়ে গেছেন নদীর পাড়ের গাছপালা।

বর্তমানে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয় মীর আব্দুল করিম কলেজ, মির্জানগর কবরস্থানসহ অসংখ্য স্থাপনা।

এ ছাড়া কয়েক মিটার দূরেই কুষ্টিয়া-পাবনা জাতীয় মহাসড়কটিও হুমকির মুখে রয়েছে।

মির্জানগর কবরস্থান কমিটির কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখানে পদ্মার যে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে, তাতে কবরস্থান সংলগ্ন এলাকায় চলে এসেছে। আগে আমরা নদী দেখতে যেতাম। নদী দেখতে যাওয়ার সময় তিন-চার বার দম নেওয়া লাগতো। সেই নদী এখন আমাদের নাগালে। গোরস্তান সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন পৌঁছে গেছে। এতে দেখা যাচ্ছে কবরস্থান নদীতে চলে যাবে। এ ছাড়া পাশেই রয়েছে একটি কলেজ। সেটিও ভাঙনের হুমকির মুখে আছে।

সাহেবনগর এলাকার মওদুদ আহমেদ রাজিব বলেন, কোন মতেই ঠেকানো যাচ্ছে না নদীর ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতিদিন জিও ব্যাগ ফেলা হলেও কোন লাভ হচ্ছে না। জিও ব্যাগসহ নদীর পাড় ও গ্রাম রক্ষা বাঁধ ইতোমধ্যেই ভেঙে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদ্মার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ইতিমধ্যে নদীর পেটে চলে গেছে জাতীয় গ্রিডের তিনটি বৈদ্যুতিক টাওয়ার। গত এক সপ্তাহে সাহেবনগর, মির্জানগর, তালবাড়ীয়া এলাকায় প্রায় ১০০ একর বেশি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।

পদ্মা নদী রক্ষা কমিটির নেতা মুফতি ইয়াকুব বিন আজমল বলেন, পদ্মায় পানি কমার কারণে সম্প্রতি ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে স্থানীয় সাহেবনগর জামিউল মাদরাসা ভবন।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, পদ্মায় পানি কমার সঙ্গে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব এলাকায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে, সেসব এলাকায় ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইএইচ

Link copied!