এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী
অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম
এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী
অক্টোবর ২৩, ২০২৪, ০৮:২৬ পিএম
ফেনীর আলোচিত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন করে টাকা ও স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগে পিবিআইয়ের সাবেক ডিআইজিসহ ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে জেলার সোনাগাজী আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমানের নিকট এ অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ইমরান হোসেন মামুনের মা নুর নাহার।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- পিবিআই সাবেক ডিআইজি বনজ কুমার, পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, ওসি শাহ আলম, পিবিআই উপপরিদর্শক সন্তোষ চাকমা, রতেপ চন্দ্র দাস ও লুৎফর রহমান।
এদিকে, গত ২০ জুলাই এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত বনজকুমার অবসরে যান। অপর অভিযুক্তরা পিবিআইয়ের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত রয়েছেন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেলার আলোচিত সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামিকে মামলায় অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাসে আসামিদের পরিবার ও স্বজন থেকে বিভিন্ন ধাপে মোট ৭৭ লাখ টাকাসহ নানা সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে পিবিআই কর্মকর্তারা। তারপরও অভিযুক্তরা আসামিদের নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করে। আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেন।
বিষয়টি উল্লেখ করে মামলার সাক্ষী পিবিআই উপ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বাবলু গত ১২ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে নুসরাত জাহান রাফির হত্যা মামলার ঘটনাটি পুনরায় তদন্তের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন।
সেই পোস্টটি আসামিদের স্বজনদের নজরে আসলে অভিযুক্ত ৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নুসরাত হত্যা মামলার ১৩নং আসামি ইমরান হোসেন মামুনের মা নুর নহার বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি আদালতের আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
অন্যদিকে একইদিন বিকালে নুসরাত হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবারের সদস্যরা।
ইএইচ