কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে জনসাধারণের।
সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফেরাতে ও বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতে কিশোরগঞ্জে কেনা দামে বিক্রি করা হচ্ছে শাকসবজি।
আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ (রহ.) ফাউন্ডেশনের সদস্যরা সাশ্রয়ী ও সুলভ মূল্যে এসব সবজি বিক্রি করছেন।
রোববার সকালে শহরের পুরানথানা এলাকার ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
দিনব্যাপী চলে কেনা দামে এ সবজি বিক্রি কার্যক্রম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদসহ স্বেচ্ছাসেবীরা।
এ সময় তারা আলু ৫৬ টাকা কেজি, বেগুন ৬২ টাকা কেজি, শসা ২৮ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা কেজি, ঝিঙা ৩৫ কেজি, কাঁচা মরিচ ১২৮ টাকা কেজি পাইকারি কেনা দরে বিক্রি করেন।
এ সময় স্বল্প মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী কিনতে দীর্ঘ লাইন দেখা যায় ক্রেতাদের।
জানা যায়, আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ (রহ.) ফাউন্ডেশন প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে সবজি এনে সুলভ মূল্যে বিক্রি করছে স্বেচ্ছাসেবীরা। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, মরিচ, মুলা, বেগুন, পেঁপে, লালশাক, শসা, শসিন্দ, লতি, করলা, পুঁইশাকসহ অন্যান্য সবজি।
যেন বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে সবজি কিনতে পারেন ক্রেতারা। নিয়মিত এমন কার্যক্রমের প্রত্যাশা ক্রেতাদের।
আয়োজকরা বলেন, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মূলে রয়েছে সিন্ডিকেট। আমরা সিন্ডিকেট ভাঙার লক্ষ্যে প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি সবজি ক্রয় করে আনছি এবং বিনা লাভে ভোক্তাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। শনিবার থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা চলমান থাকবে।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ বলেন, বর্তমান অনিয়ন্ত্রিত বাজারে জনসাধারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই প্রান্তিক কৃষক থেকে এসব সবজি নিয়ে এসে কেনা দামে এবং সাশ্রয় মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাচ্ছেন।আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ইএইচ