পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
নভেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
নভেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
কক্সবাজারের পেকুয়ায় জলকপাট নেই সোনালী বাজার স্লুইসগেটে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) মালিকানাধীন এ স্লুইসগেটটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে করে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
স্লুইসগেটের এ অংশ বিলীন হওয়ায় মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশসহ পার্শ্ববর্তী উজানটিয়া ইউনিয়নের বিপুল অংশে আগামী লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ৬৪/২বি পোল্ডারের ৪১নং স্লুইসগেটটি বর্তমানে প্রায় দেবে গেছে।
জলকপাটের দুইটি পানি চলাচল অংশে একটি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গেছে। অপরদিকে স্লুইসগেটের উপরি অংশের মাটি নিঃসরণ হওয়ায় সেখানে বড় ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত দুই যুগ ধরে এ স্লুইসগেট পুনঃসংস্কার কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে ওই স্লুইসগেটের অংশ অনেক আগে থেকে বিকল অবস্থায় রয়েছে।
সোনালী বাজারের পাউবোর এ স্লুইসগেটটি উপকূলবর্তী মগনামা ইউনিয়নে অনেক গুরুত্ব বহন করে থাকে। বিশেষকরে শুষ্ক মৌসুমে লবণ উৎপাদন ও বর্ষার সময় কৃষিজ ও চিংড়ি উৎপাদনে এর গুরুত্ব অত্যন্ত সুদূর প্রসারী।
শুধুমাত্র মগনামা ইউনিয়নে এ স্লুইসগেটে প্রবহমান খাল ও এর পানি দ্বারা প্রায় দেড় হাজার একর জমিতে উৎপাদিত হয় লবণ। এছাড়াও উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ার চর, নতুনঘোনাসহ আরো কিছু এলাকায় লবণ উৎপাদনের নির্ভরযোগ্য সূত্র হচ্ছে এ স্লুইসগেট।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, পাউবোর ৬৪/২বি পোল্ডারের ৪১ নং এর সোনালী বাজারের স্লুইসগেটটি চরম নাজুক অবস্থায় রয়েছে।
জলকপাটের একটি অংশ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে আছে। একটি অংশ দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়। তবে ওই অংশটিও মৃত প্রায়। কাদায় জলকপাটের সক্রিয় অংশটিও প্রায় নিস্তেজ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে বাহিরের নদী অংশে মাটি সরে গেছে। উপরি অংশের বেড়িবাঁধের অংশ থেকে সরে গেছে মাটি। ফলে তৈরি হয়েছে বড় ধরনের গর্ত। ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে যানবাহন। বড় আকারের যানবাহন থেমে গেছে প্রায় তিনমাস আগে।
লবণ ও মৎস্য উৎপাদনকারী হেলাল উদ্দিন বলেন, স্লুইসগেটটি নাজুক অবস্থা এখন চরমে। স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিজেরাই কিছু টাকা খরচ করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। তবে সরকারি অর্থ ছাড়া এ স্লুইসগেটটি স্বাভাবিক করা যাবেনা। আমরা দ্রুত এ দুর্ভোগের অবসান চাই।
লবণ ব্যবসায়ী চেরাংঘোনার নুরুল আজিম বলেন, স্লুইসগেট এর কারণে আমরা বেকায়দায় পড়েছি। যান চলাচল থমকে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি।
মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, স্লুইসগেট এর অংশটি ঝুঁকিতে আছে। আমরা সরকারকে আহ্বান করবো দ্রুত সময়ে স্লুইসগেটটি যাতে সংস্কার করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান এর নির্বাহী প্রকৌশলী অরুপ চক্রবর্তী বলেন,আমরা ৪-৫ দিন আগে সেখানে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। এখন নদীতে ভরাতিথী। সে কারণে সমস্যা হচ্ছে। প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি এ বছরে সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন হবে।
ইএইচ